সালটা ২০০৯, মুক্তি পেয়েছিল 'ও টুনির মা' গানটি। গানের সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশের প্রমিত কুমার। সেসময় রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ‘ও টুনির মা’ গানটি। এপার ও ওপার, দুই বাংলাতেই তখন বিয়েবাড়ি থেকে পুজোর ভাসান সর্বত্রই শোনা যেত এই গান। বাংলাদেশের নরসিংদীর পলাশ থানার পণ্ডিতপাড়া গ্রামে বসে সেসময় গানটি লিখেছিলেন প্রমিত কুমার। তখন নাকি গানটি রেকর্ড করতেও অস্বীকার করেছিল ঢাকার রেকর্ডিং স্টুডিও। বলেই দেওয়া হয়েছিল, 'এসব চলবে না'। প্রমিতের ইচ্ছা ছিল 'ও টুনির মা' , এই নামেই রাখবেন অ্যালবামের নাম। তবে ‘সে গুড়ে বালি’। অডিও প্রকাশনার ইচ্ছাতে অ্যালবামের নাম রাখা হয়েছিল 'বউ আমার চেয়ারম্যান'। তবে গানটা মুক্তির পরই সব ধারণা বদলে যায়।
কিন্তু এখন কেমন আছেন 'ও টুনির মা'র সৃষ্টিকর্তা প্রমিত কুমার?
বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'-কে প্রমিত জানান, 'ও টুনির মা' গানটি তাঁকে ২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত অনেক কিছু দিয়েছে। যা তিনি প্রত্যাশাও করেননি। এই গানই তাঁর সঙ্গীত কেরিয়ার বদলে দেয়। পাশাপাশি টাকাও এসেছে। গান মুক্তির পরই প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে ৩০টি স্টেজ শো করেছিলেন প্রমিত। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৪ বছর। তবে ‘ও টুনির মা’ যখন তিনি তৈরি করেন, তাঁর বয়স ছিল অল্প। সেসময় টাকার পিছনে ছুটেছেন। তাঁর কথায়, টাকার প্রয়োজন ঠিকই, কারণ, টাকা নিরাপত্তা দেয়। তবে অল্প বয়সে তিনি যে ভুলগুলি করেছেন, তা এখন আর তিনি করতে চান না। এখন আর তিনি টাকার পিছনে ছুটতে চাননা। ভালো মানসম্পন্ন গানই তিনি বানাতে চান। সেভাবেই তিনি এগোচ্ছেন।
আরও পড়ুন-বেনারসে শ্যুটিংয়ের সময় টিফিনের ব্যবস্থা করেছিলেন গজরাজ, উনি টাকাও নেননি: নীনা
প্রসঙ্গত, ‘ও টুনির মা’-হিট হওয়ার পর 'টুনি' সিরিজের আরও ২০টি গান করেছেন প্রমিত। ‘টুনি সিনেমার নায়িকা হয়েছে’, 'টুনি এখনো কথা শোনে না', ‘নিউ টুনি’। ‘টুনি’ ছাড়াও প্রমিত কুমারের বানানো ‘এত কষ্ট বুকের মধ্যে’ও শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। প্রমিত কুমার 'প্রথম আলো'কে জানান, ইদের পর 'রূপসী কন্যা রে' সহ দুটি গান মুক্তি পাবে। এই ইদে গান গাইতে দুবাই যাচ্ছেন তিনি।