BHUBANESWAR : দেবব্রত মোহান্তি
করোনাযোদ্ধা হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনও কখনও যেমন সমালোচনার মুখে পড়েছেন পুলিশকর্মীরা,তেমনই দায়িত্বর বাইরে গিয়ে তাঁদের মানবিক মুখও সামনে এসেছে গত কয়েক দিনে। তেমনই এক মর্মস্পর্শী ছবি গত মাসে উঠে এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার মালকগিরি জেলার এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল এক দুঃস্থ প্রবীণ মহিলার দিকে।
মালকানগিরি থানার আধিকারিক শুভশ্রী নায়েককে রাস্তার ধারে বসে থাকা এক বৃদ্ধাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছিলেন।শুভশ্রীর এই মানবিক মুখ থেকে মুগ্ধ তেলুগু সুপারস্টার চিরঞ্জীবী। শুভশ্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
শুধু ওই বৃদ্ধাই নয় লকডাউন পর্বে একাধিক তপশিলি জাতির মানুষের দিকে এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শুভশ্রী।তাঁদের মাস্ক পরবার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাসি বেসিক হাইজিনের বিষয়টিও বোঝাচ্ছেন এই পুলিশকর্মী।
মাদার্স ডে’র দিন টুইটারের দেওয়ালে শুভশ্রীর সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে চিরঞ্জীবী লেখেন, সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও মায়ের মমতায় কোনওদিনও লকডাউন হয় না। বিশ্বের সব মায়েদের জানাই প্রণাম’।
ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে এই পুলিশকর্মীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন চিরঞ্জীবী। করোনা মোকাবিলায় যেভাবে সাধ্যে এবং কর্তব্যের বাইরে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে আপ্লুত রূপোলি পর্দার এই তারকা।
শুভশ্রীর এই কাজ নজর কেড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েকেরও। তাঁকে কুর্নিশ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অফিশিয়্যাল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও।
প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় শুভশ্রী একা নন, তাঁর মতো বহু মহিলা পুলিশ কর্মচারীই সাধারণের সেবায় নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। গত মাসেই কটক স্টেশনে এক মহিলাকে খাওয়ার খাইতে দিতে দেখা গিয়েছিল সাব-ইন্সপেক্টর বর্ষা মোহান্তিকেও। সংকটজনক পরিস্থিতিতে তাই মেরুদণ্ডে কঠিন অস্ত্রোপচারের তিনদিনের মধ্যেই কাজে দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দেওগড় জেলার কনস্টেবল সংযুক্ত পাত্র।