সপ্তাহান্তে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে ছিল হোলি স্পেশাল এপিসোড। ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’-এর এই পর্বে হাজির হয়েছিলেন টলিউডের একগুচ্ছ তারকা। এ দিন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলাও হাজির হয়েছিলেন মঞ্চে। টেলি দর্শকের কাছে তিনি ‘দুষ্টু’ নামে বেশি জনপ্রিয়। এখনও অনেকে ঐন্দ্রিলাকে ‘দুষ্টু’ বলেই ডাকে জানিয়েছেন নায়িকা।
ঘুরতে, অ্যাডভেঞ্চার করতে দারুণ ভালোবাসেন ঐন্দ্রিলা। শ্যুটিং থেকে একটু সময় পেলেই বেড়াতে চলে যান তিনি। ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্যারাস্যুটিং বা স্কাই ডাইভিং-এর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। প্রথমেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এক টুকরো ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সকলের সঙ্গে। এরপরই ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, খুব ভোরে স্কাই ডাইভিং-এর জন্য যেতে হয়েছিল তাঁদের। তিনি মা-কে বাড়িতে ফোন করেননি। ভেবেছিলেন ঠিক মতো নেমে এসে তারপর ফোন করবেন।
সেখানে পৌঁছেই রীতিমতো সবরকম সতর্কতা নিয়ে প্রথমে ফ্লাইটে চড়েন। এরপরই ফ্লাইটের দরজা খুলতে, বাইরে তাকাতেই নাকি ভয়ে বুকটা শুকিয়ে যায় ঐন্দ্রিলার। অভিনেত্রী বলেন, ‘এখানে কী বলে দেব, যে আর পারব না।' শুনে সবাই হো হো করে হেসে ওঠে। পাশে সেই সময় অঙ্কুশ ছিল। তিনি বলে ওঠেন, ‘শোনো, প্রচুর টাকা দিয়েছি। একটা টাকাও নষ্ট করতে পারব না।’
এরপরই ঠেলে-ঠুলে আগে অঙ্কুশকে পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলার বলেন, ‘তখন কী হচ্ছে আমার কিছুই মাথায় নেই। দেখলাম কোথায় একটা পড়ে, কোথায় একটা চলে গেল। আমি ভাবলাম প্য়ারাস্যুটটা খুলবে তো! অদ্ভুত একটা অনুভূতি। আমার সময় আসতেই পাশে সবার দিকে তাকিয়ে একবার দেখলাম। যিনি নির্দেশক ছিলেন, তিনি বললেন, কোনও টেনশন করতে না। নিজেকে শান্ত রাখতে। যদিও কিছু না হলে তো, লুজ কেন একদম সোজা…।’ শুনে বাকিরা হেসে কুটোপাটি। যদিও শেষ পর্যন্ত সঠিক ভাবেই মাটিতে অবতরণ করেন অভিনেত্রী।