বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Oindrila-Sabyasachi: ঐন্দ্রিলার ‘ভালোবাসা’ সব্যসাচী কেমন আছেন এখন? জবাব দিলেন নায়িকার মা শিখা শর্মা

Oindrila-Sabyasachi: ঐন্দ্রিলার ‘ভালোবাসা’ সব্যসাচী কেমন আছেন এখন? জবাব দিলেন নায়িকার মা শিখা শর্মা

ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর ঠিক আছেন তো সব্যসাচী?

ঐন্দ্রিলার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে সবসময় সঙ্গ দিয়েছিলেন সব্যাসচী চোধুরী। শেষ ২০ দিন যে হাসপাতালে লড়াই করেছিলেন অভিনেত্রী তখনও প্রেমিকার হাতটা শক্ত করে ধরে ছিলেন। কেমন আছেন এখন? জবাব দিলেন ঐন্দ্রিলার মা। 

এক জীবনবিমা কর্মচারী কমিটির পক্ষ থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। সেখানে উপস্থিত মিডিয়ার সামনে মেয়েকে নিয়ে কথা বলেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। মেয়ের চলে যাওয়ার শোক কী এত জলদি কাটিয়ে ওঠা যায়। বার বার কেঁদে ফেলছিলেন। 

ঐন্দ্রিলার মাকে বলতে শোনা যায়, ‘বিধির সঙ্গে দড়ি টানাটানিতে হেরে গেলাম। ছটফটে মেয়েটা আমাদের ছেড়ে চলে গেল। সবাই সবার জায়গায় ফিরবেন জানেন, আমরা বাবা-মা বড্ড সাদা-কালো হয়ে গেলাম। ও যেন পরের জন্মে সুস্থ জীবনটা পায়। অনেক কষ্ট করল তো রোগভোগে।’

এরপর ঐন্দ্রিলার মার কাছে সব্যসাচীকে নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়। যাতে তিনি জানান, ‘ওর মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। আছে নিজের মতো করে।’ দিনকয়েক আগেও তিনি সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। 

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন সব্যসাচী। ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছেন নিজের ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। মাঝে রটে যায় অসুস্থ সবস্যসাচী। যা নিয়ে প্রতিবাদ করেন সব্যসাচীর কাছের বন্ধু সৌরভ দাস। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বামাখ্যাপা নিজেও। কেমন আছেন প্রশ্নে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ইউটিউবের সৌজন‍্যে দিন কয়েক আগে নাকি আমিও মারা গিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানেই কথা প্রসঙ্গে এক ডাক্তারের উপর অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন ঐন্দ্রিলার মা। বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে, ‘হাসপাতালের নার্সিং কেয়ার খুবই ভালো ছিল। আমরা খুব খুশিও ছিলাম। কিন্তু পোস্ট অপারেটিভ ট্রিটমেন্ট নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল। দুজন ডাক্তারের মধ্যে ইগোর সমস্যা চলছিল। যিনি অপারেশন করেছেন সেই ডা. ঘোষ অমায়িক। কিন্তু য়েই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ও ভর্তি ছিল, সেই ডা. পিয়া ঘোষ আমাদের সঙ্গে একেবারে সহযোগিতা করেননি। এমআরআই করাটাই ওর পক্ষে ঠিক হয়নি। আমরা এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি নিজেদের মধ্যে। সবাই কো-অপারেট করেছেন কিন্তু একজন ইগোর কারণে সহযোগিতা করেননি। উনিই দায়িত্ব নিয়ে ঐন্দ্রিলাকে ডিপ কোমায় পৌঁছে দিলেন। ডা. পিয়া ঘোষ কতটুকু চিকিৎসক, কতটুকু মানবিক জানি না। অনেক ডাক্তার ওর চিকিৎসা করেছে কিন্তু সেটা ফলো করা হয়নি। আমার বড় মেয়ে ডাক্তার, অনেক অনুরোধ করেছিল ও নিজেও। কিন্তু উনি শোনেননি।’

 

বন্ধ করুন