পর্নোগ্রাফি দেখা বহু প্রাত্যহিক ক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। এদেশে পর্নের চাহিদা গত কয়েক বছরে হু হু বেড়েছে। তবে পর্নপ্রেমী মানুষদের জন্য দুঃসংবাদ! পর্নোগ্রাফির 'স্বর্গোদ্যান' বলে চিহ্নিত পর্নহাবের চ্যানেল এবার হঠিয়ে দিল ইউটিউব। একধিক নিয়ম লঙ্খন করায় পর্নহাবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল গুগলের ভিডিয়ো স্ট্রিমিং সাইটটি। সম্পূর্ণ নগ্ন কনটেন্ট কখনই পোস্ট করা যায় না ইউটিউবে, এটি তার নিয়ম বিরুদ্ধ। নিয়মিত কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হল পর্নহাব।
মাস কয়েক আগেই মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক থেকে একই কারণে বিতাড়িত হয়েছিল পর্নহাব। এবার ইউটিউবের থেকেও সরল এই অ্য়াডাল্ট চ্যানেল। ইউটিউব সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘বিস্তারিত রিভিউ করার পর আমরা পর্নহাবের অফিসিয়্যাল চ্যানেল নিষিদ্ধ করছি, কারণ এটি আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্খন করছে, একবার নয় বারবার একই ঘটনা ঘটেছে’।
ইউটিউবে পর্নহাবের যে চ্যানেল ছিল তার সাবস্ক্রাইব সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষাধিক। 'এজ-রেসট্রিক্টেড' চ্যানেল ছিল এটি, অর্থাৎ ১৮ বছর বা তার উর্ধ্বের ইউজাররাই একমাত্র এই চ্যানেল দেখতে পেতেন। তবে পর্নহাবের কনটেন্টের কিছু ঝলকই ইউটিউবে উঠে আসত,কারণ সম্পূর্ণ নগ্নতা নিষিদ্ধ ইউটিউবে।
পর্নহাব কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, ‘বিভেদ তৈরি করছে ইউটিউব। পর্নহাবের চ্যানেল মুছে দেওয়ায় তা ফের স্পষ্ট।’ কোনওরকম গাইডলাইন লঙ্ঘন করা হয়নি তাঁদের পক্ষে দাবি পর্নহাবের মুখপাত্রের। ইউটিউবের মতোই এর আগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের রোষের মুখেও পড়েছে এই অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি।
পাকাপাকিভাবে ইনস্টাগ্রাম থেকে বার হয়ে দেওয়া হয়েছে পর্নহাবকে। এরপরই পর্নহাবের তরফে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল, যৌন কর্মী এবং অভিনেতাদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। তাতেও কোনওরকম সুরাহা হয়নি।