দিন কয়েক আগেই ওয়ার্কআউটের ভিডিয়ো পোস্ট করে শ্রীলেখা জানিয়েছিলেন, ব্যাথা উপভোগ করছেন তিনি। নিজেকে নিয়ে এই ধরণের রসিকতা প্রায়ই করে থাকেন টলিপাড়ার এই ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী। তবে এই রসিকতার ফল তাঁকে ভুগতে হয়েছে। বাথ্যা উপভোগের কথা বলবার দু-দিনের মাথাতেই দুর্ঘটনার কবলে! দিন কয়েক আগেই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কথা। অল্পের জন্য চোখটা রক্ষা পেয়েছে, সেটাও বলেছিলেন। তবে কীভাবে ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা তা এতোদিনে ফাঁস করলেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখার কথায়, চোখের উপর ১৭টা সেলাই হয়েছে, চোখটা বেঁচে গিয়েছে এতেই শান্তি তাঁর মনে। দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য নিজেকেই দুষছেন শ্রীলেখা। কী হয়েছিল?
এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, গত ১লা জুলাই ভোররাতে ঘুমচোখে বাড়ির বেসিনের ধারলো কোণে ধাক্কা খেয়ে ঘটে যায় রক্তারক্তি কাণ্ড! চোখের উপরে চামড়া পুরো ঝুলে যায়। বেশিরভাগ সময় পোষ্যদের নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন অভিনেত্রী। অসময়ে কাউকে বিরক্ত করেননি। আইস-প্যাক লাগিয়ে চুপচাপ শুয়েছিলেন। দীর্ঘ চারঘন্টা ওই যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। পরে পরিচিতরা এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ তিনি। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন। কাজে ফিরেছেন। চিত্রনাট্য লেখবার কাজও শুরু করেছেন। চোখের সেলাই কাটবার পর তাঁর কী অবস্থা, সেই ছবিও এদিন পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। লিখেছেন, এই সময়ে শুভাকাঙ্খীদের প্রার্থনা তাঁর বিশেষ প্রয়োজন।
এত কিছুর পরেও কিন্তু রসিকতা ভোলেননি শ্রীলেখা। হাসিমুখে জানিয়েছেন, জীবনে অনেক ব্যাথার মতো এই ব্যাথাটাও সয়ে নিলেন। তবে আগামী ছবির প্রযোজক খুঁজে না পেলে ‘বড্ড বেশি ব্যাথা পাব’।