ছবির নাম 'অমরসঙ্গী', আর সেই ছবিতেই এবার জুটি বেঁধে ধরা দিতে চলেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও সোহিনী সরকার। 'অমরসঙ্গী' নামটা শুনলেই হয়ত যেকোনও সিনেপ্রেমী বাঙালিরই ৯এর দশকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সেই হিট ছবির কথা-ই মনে পড়বে। তবে এই ‘অমরসঙ্গী’ এক্কেবারেই নতুন। আর এই ছবিতেই একসঙ্গে দেখা যাবে বিক্রম-সোহিনীকে।
এই ‘অমরসঙ্গী’র গল্পে এমন এক জুটির কথা উঠে আসবে, যাঁরা কিনা ছোট থেকেই একে অপরকে ভালোবাসে। তাঁদের সেই প্রেম চিরকাল একসঙ্গে থাকার মতোই। আর তাই গল্পের নাম 'অমরসঙ্গী'। আর এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই সম্প্রতি নিজেদের প্রেমজীবন নিয়ে কথা বলেছেন বিক্রম-সোহিনী। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহিনী বলেন, তাঁর জীবনে অবশ্য কখনও পুরনো প্রেম ঘাড়ে চেপে বসেনি। সোহিনীর কথায়, ‘কাজের সূত্রে বন্ধুত্ব থাকতে পারে, কথাও হতে পারে, তবে আমার কাছে ওই চ্যাপ্টরটা শেষ মানে শেষ। আমার কিছু বন্ধুর ক্ষেত্রে এটা হয়েছে যে বর্তমান সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় পুরনো সম্পর্কে ফেরত যেতে ইচ্ছে করেছে, তবে আমার ক্ষেত্রে সেটা কখনও ঘটেনি।’
তবে এবিষয়ে বিক্রমের বক্তব্য, ‘আমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল, সম্পর্কটা হয়ত ভেঙেছে, তবে ভালোবাসাটা রয়ে গিয়েছে কিনা? অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও ভালোবাসা থেকে যায়। আমি তাই সেকেন্ড চান্স দেওয়া পক্ষে। কারণে প্রকৃত ভালোবাসা খুব ভাগ্য করে পাওয়া যায়। যদি কারোর প্রতি অনুভূতিটা থেকে গিয়ে থাকে, তাহলে তাকে আরেকবার সুযোগ দিতে আপত্তি নেই।’
তবে প্রেমটা না ভাঙুক, সেটা টিকে যাক, এই বিষয়টা কমবেশি সকলেই চান। এবিষয়ে বিক্রম বলেন, ছোটবেলার প্রেমের ক্ষেত্রেই এটা সবথেকে বেশি হয়। বিশষ করে প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে। তাঁর ক্ষেত্রে এটা হয়েছিল বলেও অকপটে জানান অভিনেতা। বন্ধু, সহ-অভিনেত্রী সোহিনীকে নিয়ে বিক্রম বলেন, ‘ওঁর তো প্রথম প্রেম ক্লাস ফোরে।’ তাঁর কথায়, সারল্য না থাকলে আসলে প্রেমটাই ঠিক হয় না।
সোহিনীর কথায়, ‘এখন সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। প্রথমত সোশ্যাল মিডিয়া একটা চাপ তৈরি করে। চারপাশে এত সম্পর্ক ভেঙেছে। আমার নিজেরও ভেঙেছে। সেই মন খারাপটা সামলানো খুব শক্ত। আমরা যেহেতু পরিচিত মুখ তাই ওই মন খারাপের মধ্যেও নানান লোক, নানান কথা বলবে। সেই ট্রোলিং সামলাব নাকি নিজেকে সামলাব! অনেকেই মজা করে বলেন, একটা ভেঙেছে, আরেকটা হবে। তবে বিষয়টা এমন নয়। একটা বয়সের পর সকলেই থিতু হতে চায়। এমনকি এমন দম্পতিও দেখেছি যাঁদের দেখে আইডিয়াল মনে হত, সেই সম্পর্কও অনেকসময় ভেঙে গিয়েছে। তখন আরও বেশি মনে হয়, সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতেই হবে।’