পুজো শেষ আর প্রতিবারের মতো এ বছরও পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রেড রোডে উদযাপিত হচ্ছে পুজোর কার্নিভাল। নিমন্ত্রিত দেশ-বিদেশের একাধিক অতিথি। ইতিমধ্যের পুজোর কার্নিভালের মঞ্চে দেখা মিলেছে বেশ কিছু তারকার। অন্য দিকে একই সময় রানি রাসমনি রোডে জুনিয়র চিকিত্সকদের উদ্যোগে দ্রোহ কার্নিভাল হওয়ারও কথা।
ফলে সবটা নিয়ে যে এ দিন শহরের পরিবেশ কিছুটা হলেও উত্তপ্ত থাকবে তা কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিল দিনের শুরুতেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রানি রাসমনি রোডে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল। যদিও দ্রোহ কার্নিভালের অনুমতি দিয়েছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর।
আরও পড়ুন: ৬ বছর পর অক্ষয় কুমারের ‘নন্দু নো স্মোকিং’ বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিল সিবিএফসি! কেন এল নতুন অ্যাড?
তিনি প্রশাসনের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর কার্নিভালে কোন কোন টলি তারকা অংশগ্রহণ করবেন? তা নিয়ে অনেকের মনেই তৈরি হয়েছিল কৌতূহল। কারণ আরজি কর কাণ্ডের জেরে উৎসবে ফেরা না ফেরা নিয়ে কার্যত দুভাগে বিভক্ত টলিপাড়া। তবে সব বিতর্কের মাঝে ইতিমধ্যেই কার্নিভালের মঞ্চে দেখা গিয়েছে জুন মালিয়া, রচনা বন্দোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা, সায়নী ঘোষ, দিগন্ত বাগচী, প্রিয়া পাল এবং সৌমিতৃষা কুণ্ডুকে।
তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার টলিপাড়ার ভিড় কিছুটা হলেও কম। কারণ, প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় শহরে নেই। শুটিংয়ের কাজে তিনি কলকাতার বাইরে। শোনা গিয়েছে, দেবও বিদেশে।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্ত্রীদের গায়ে হাত তুলতেন কি? সলমনের প্রশ্নের চাপে মুখ খুললেন করণ বীর
এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পুজোর কার্নিভালে সৌমিতৃষা কুণ্ডুর যোগ দেওয়া নিয়ে TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বললেন, ‘আমি যাচ্ছি। ওখানে গিয়ে যদি বিতর্কের মুখে পড়তে হয়, তবে সবাই যা করবেন, আমিও তাই করব। আমি আন্দোলনের বিরোধী নই। তবে মণ্ডপে মণ্ডপে যে হারে ভিড় দেখলাম, তাতে তো বোঝা গিয়েছে যে উৎসব হয়েছে। এবার নতুন জামা পরে ঠাকুর দেখার পর কার্নিভাল এড়িয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। বছরকার দিন, মা চলে যাচ্ছেন, সকলের মতো আমিও সেখানে উপস্থিত হব। প্রতিবাদ প্রতিবাদের মতোই হবে, কার্নিভালে যাওয়া মানে প্রতিবাদের বিরোধিতা করছি এমনটা একেবারেই নয়।’
পাশাপাশি ট্রোল প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘ট্রোল হওয়ার ভয়ে যদি কেউ ভাবেন যাবেন না, তবে আমি বলব, তাঁদের মেরুদণ্ড নেই।’ উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিত্সকদের সঙ্গে পথে নেমেছেন দেবলীনা দত্ত-সহ টলিপাড়ার আরও অনেকেই।