২০২৪-এর শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে বদলে যাচ্ছে উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ‘স্টার থিয়েটার’-এর নাম। সন্দেশখালির সভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই প্রেক্ষাগৃহের নতুন নামকরণ হতে চলেছে নটী বিনোদিনীর নামে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’। আর নতুন বছরের শুরু দিনেই পর্দার 'বিনোদিনী' রুক্মিণী মৈত্র গেলেন বিনোদিনী থিয়েটারে।
স্টার থিয়েটারের সঙ্গে বিনোদিনী নাম অতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে। তবে বিনোদিনী এতদিন তাঁর সেই যোগ্য সম্মান পাননি। তাই ‘স্টার থিয়েটার’-এর নাম বদলে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ নামকরণের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সেই সম্মান দিতে চেয়েছিলেন। আর ২০২৫-এর শুরু দিনেই সেখানে হাজির হলেন পর্দার ‘বিনোদিনী’ তথা সাংসদ দেবের প্রেমিকা রুক্মিণী।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনই শুরু বিক্রম-দেবলীনার 'রাস'লীলা! প্রকাশ্যে এল তথাগত ছবির পোস্টার
বুধবার রুক্মিণীর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’-এ অভিনেত্রী। টলিউড অনলাইনের প্রকাশ করা এক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিনোদিনী থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে রুক্মিণী। অভিনেত্রী মাথার উপর একটি বোর্ডে বড় বড় করে লেখা ‘বিনোদিনী থিয়েটার’। শাড়ি পরে বছরের প্রথম দিনই সেখানে হাজির হন তিনি। তাঁর পরনে ছিল বেগুনী রঙের শাড়ি ও ম্যাচিং ব্লাউজ। মানানসই ভারী গয়নার সঙ্গে কপালে টিপ ও মাথায় লাল ফুল দিয়ে সেজেছিলেন নায়িকা।
বহু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল বড় পর্দায় 'বিনোদিনী' হয়ে ধরা দিতে চলেছেন রুক্মিণী। তারপর ২০২২-এর সেপ্টেম্বর মাসে 'বিনোদিনী' বেশে অভিনেত্রী ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে যায় বিনোদন জগতে। সেসময়ই প্রথমবার বিনোদিনী রূপে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন রুক্মিণী। ২০২৩-এর মার্চে শেষ হয়েছিল ছবির শ্য়ুটিং। এরপর গত বছরে দীপাবলিতে প্রকাশ্যে আসে ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’-এর টিজার। সেখানেই নটীর বেশে, অভিনেত্রী আবারও নজর কাড়েন। জানা গিয়েছে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।
আরও পড়ুন: দেবলীনাকে 'রাস'-এর স্ক্রিপ্ট পুড়িয়ে ফেলতে বলেছেন তথাগত! কেন? যা বললেন নায়িকা
আর তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আল্পুত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘২৩ তারিখ রিলিজ বিনোদিনীর, আর তার আগে এই খবরটা! দেখার পর থেকে আমি কেঁদেই যাচ্ছি। আমাকে দেব কল করছে, রামদা কল করছে আমি ধরতে পারছি না কান্নার চোটে। কারণ আমার কোনও ভাষা নেই, অনুভূতিটা প্রকাশ করার। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যবে থেকে এই ছবিটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, আমি এটাই চেয়েছিলাম। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তো চায়, ছবির জয় হোক, কোথাও না কোথাও আমি চেয়েছিলাম আমাদের চেয়েও জরুরি বিনোদিনী দাসীর জেতা।’