বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > রুনা লায়লার ডাকে বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশে গেছিলেন শ্রীলেখা, পূরণ করেছিলেন এই স্বপ্ন

রুনা লায়লার ডাকে বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশে গেছিলেন শ্রীলেখা, পূরণ করেছিলেন এই স্বপ্ন

রুনা লায়লা ও আলমগীরের সঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র এবং তাঁর বাবা। (ছবি সৌজন্যে -ফেসবুক)

সম্প্রতি, ফেসবুকে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতি শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা মিত্র।জানিয়েছেন কীভাবে রুনা লায়লা ও আলমগীরের আমন্ত্রণে সেখানে হাজির হয়ে নিজেদের বহু বছরের এক স্বপ্নপূরণ করেছিলেন তাঁরা।

বাংলাদেশেই ছিল শ্রীলেখা মিত্রের শিকড়। দেশভাগের পর অগণিত বাঙালির মত তাঁদের পরিবারও ওপর থেকে চলে এসেছিলেন এপার বাংলায়। ছোট থেকেই বাবার মুখে সেখানকার গল্প শুনেই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি, বাবাকে হারিয়েছেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। এখনও যেন বাবার চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাঁর ফেসবুক পেজে চোখ বললেই বোঝা যাবে সেকথা। বাবার ছবি থেকে কথা, নানান স্মৃতি উঠে এসেছে সেখানে। তবে সম্প্রতি বাবার সঙ্গে কাটানো এক দারুণ সুন্দর স্মৃতি নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। তাঁদের একসঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতি।

ফেসবুকে করা সেই পোস্টে শ্রীলেখা লিখেছেন, 'মাদারিপুর ঘটমাঝি গ্রামে জমিদারবাড়ির গল্প শুনে বেড়ে ওঠা। মিত্তিরদের পুজো, মিত্তিরদের ঘাট, মিত্তিরদের বাজার, পোস্ট অফিস, শ্মশান… অগণিত মানুষের মতো দেশভাগের শিকার আমারাও…'। এরপরেই ছোটপর্দার এক রিয়েলিটি শো-তে ঠিক এই কথাগুলোই একবার বলেছিলেন অভিনেত্রী। সেকথা কানে যায় বাংলাদেশের দুই স্বনামধন্য তারকা অভিনেতা আলমগীর ও গায়িকা রুনা লায়লার। দেরি না করে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান শ্রীলেখা ও তাঁর বাবাকে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন শ্রীলেখা ও তাঁর বাবা। অভিনেত্রীর কথায়, ' শিকড়ের টানে বাপ বেটি মিলে চলে গেলাম দেশের বাড়ির খোঁজে'।

এরপর সেলেব জুটি রুনা লায়লা ও আলমগীরের বাড়িতে অভাবনীয় যত্নআত্তির পেয়ে যারপরনাই মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেই আপ্যায়ন পাওয়ার কথা নিজেই এই ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আলমগীরের সহায়তায় খুঁজে বার করেছিলেন ফেলে আসা ভিটেমাটিও। দীর্ঘ বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিলেন শ্রীলেখার বাবার। এটুকুই আজ শ্রীলেখা মিত্রের কাছে সান্ত্বনা, তৃপ্তি।

বন্ধ করুন