সলমন খান-মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত 'হাম আপকে হ্যায় কৌন' ছবিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছিল রেণুকা সাহানে-কে। ছবিতে মাধুরী দিদির পাশাপাশি সলমনের বৌদির চরিত্রে রেণুকার অভিনয়ে মজেছিল দর্শককুল। এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল সেই ছবিতে তাঁর 'পূজা ভাবি'র চরিত্রটি যে এরপর বহু পরিচালক এবং প্রযোজকের তরফে পরপর স্রেফ দিদি এবং বৌদির ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়া শুরু করেছিলেন রেণুকা। এমনকি এক পরিচালকের তরফে এও শুনেছিলেন ছবিতে নায়কের দিদি হিসেবে তাঁকে ধর্ষিত হতে দেখানো হবে। উদ্দেশ্য একটাই, ছবিতে প্রধান ভিলেনের উদ্দেশে নায়কের প্রতিশোধস্পৃহাকে চাগিয়ে তোলা, দাবি রেণুকার।
পূজা তলোয়ার-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে রেণুকা বলেছেন, ' হাম আপকে হ্যায় কৌন-এর পর পরপর দিদি, বৌদির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়া শুরু করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, তাতে মোটেও অবাক হয়নি। তবে চমকে গিয়েছিলাম যখন এক পরিচালক আমাকে তাঁর ছবিতে নায়কের দিদি হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জানান যে আমাকে এক ধর্ষিতা নারী হিসেবে অন-স্ক্রিন পেশ করা হবে। কারণ দিদির ধর্ষণের খবর পেয়ে ছবির ভিলেনের উদ্দেশে নায়কের প্রতিশোধস্পৃহা বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। অর্থাৎ নায়কের প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে আমার কাজ হত অনুঘটকের!'
এখানেই না থেমে 'ত্রিভঙ্গ'র পরিচালক আরও বললেন, 'কোনো ছবিতে স্রেফ নায়কের কোনও উদ্দেশে চরিতার্থ করার জন্য নিজেকে একজন 'বোড়ে' পেশ করতে চাইনি দর্শকদের সামনে। তাই স্বভাবতই সেইসব চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করেছিলাম।প্রসঙ্গত , নব্বইয়ের দশকে ছোটপর্দারও অন্যতম জনপ্রিয় নাম ছিল রেণুকা সাহানের। 'সার্কাস', 'ইমতিহান', 'মিসেস মাধুরী দিখ্হিত', 'কোরা কাগজ' এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের প্রধান মুখ ছিলেন তিনি।