বলিউডের চিরন্তন প্রেমের ছবির বলতে শুরুতেই যেসব ছবির কথা মাথায় আসে তার মধ্যে অন্যতম মেয়নে প্যায়ার কিয়া। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সলমন-ভাগ্যশ্রী জুটির এই ছবি। তারপর থেকেই বি-টাউনের 'প্রেম' হয়ে উঠেছিলেন সলমন খান। ছবির প্রতিটি দৃশ্য, ডায়লগ, গান আজও গেঁথে রয়েছে নব্বইয়ের দশকে বেড়ে উঠা ছেলেমেয়েদের মনে।
এই ছবির সুবাদে রাতারাতি সুপারস্টার-এর তকমা পেয়েছিলেন সলমন-ভাগ্যশ্রী। তিন দশক পরেও বলিউডে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন সলমন, তবে কেরিয়ারের শুরুতেই বলিউডের লাইমলাইট থেকে আচমকা হারিয়ে যান ভাগ্যশ্রী। আজ ৫২-য় পা দিলেন তিনি। এই ছবিতে সলমন-ভাগ্যশ্রীর রসায়ন সকলের নজর কেড়েছিল। এক সাক্ষাত্কারে ভাগ্যশ্রী জানিয়েছিলেন পর্দার প্রেমের মতোই ক্যামেরার পিছনে পুরোদস্তুর জেন্টালম্যান সলমন।
গত বছর এক সাক্ষাত্কারে ভাগ্যশ্রী বলেন, মেয়নে প্যায়ার কিয়ার সফলতার জেরে একাধিক ফটোশ্যুটের জন্য ডাক পেয়েছিলেন তাঁরা। তেমনই এক ফটোশ্যুটের জন্য এক জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার নবাগত সলমনকে নির্দেশ দেন চুমু খেতে হবে ভাগ্যশ্রীকে। সপাটে সেই দাবি প্রত্যাহার করে দিয়েছিলেন সলমন। ভাগ্যশ্রী বলেন, ‘সেইসময়ের এক নামী ফটোগ্রাফার, উনি আর আমাদের মধ্যে নেই… উনি চেয়েছিলেন কিছু ছবি তুলতে আমার আর সলমনের যেখানে কিছু উষ্ণ মুহূর্ত থাকবে। তাই সলমনকে আলাদা ডেকে উনি বলেন, যখন আমি ক্যামেরা সেট করব তুমি ওকে ধরে স্মুচ করো'। ডেকান কর্নিকালকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ভাগ্যশ্রী আরও বলেন, ‘উনি ভেবেছিলাম আমরা নিউ কামার তাই উনি বললে সেটা সহজেই মেনে নেওয়া হবে। সেই সময় স্মুচিং, কিসিং এগুলো খুব বেশি প্রচলিত ছিল না’।
কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাগ্যশ্রী, মন দিয়ে শুনছিলেন তাঁর নায়ক ও সেই ফটোগ্রাফারের কথা, মনে মনে একটু ভয়ও করছিল তাঁর। এরপর সলমনের প্রতিক্রিয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিনি। স্মৃতির পাতা উলটে ভাগ্যশ্রী বলেন, ‘আমি চমকে গিয়েছিলাম এইসব শুনে। ওরা জানত না আমি কাছেই দাঁড়িয়ে আছি। এরপর শুনলাম সলমন বলছে, আমি এইধরণের কিছুই করতে পারব না। যদি আপনি এইধরণের কিছু করতে চান সবার আগে গিয়ে ভাগ্যশ্রীকে জিজ্ঞাসা করুন। সলমনের ওই কথা শুনে আমার ওর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছিল। এইরকম মানুষের সঙ্গে কাজ করলে আপনি সবসময় সুরক্ষিত থাকবেন’।
নিজের ফিল্মি কেরিয়ারে আজ পর্যন্ত কোনও নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট করে চুমু খাননি সলমন। কারণ পর্দায় কিসিং সিনে তিনি আজও স্বচ্ছন্দ নন। সময় বদলালেও, পালটাননি সলমন। অন্যদিকে ভাগ্যশ্রী শীঘ্রই পর্দায় ফিরছেন। কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘থালাইভি’ এবং প্রভাসের ‘রাধে শ্যাম’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। শীঘ্রই রুপোলি পর্দায় হিরো হিসাবে ডেব্যিউ করতে চলেছে ভাগ্যশ্রী পুত্র অভিমন্যু দাসানি।