নিজের অভিনয় কেরিয়ারের সমালোচনা একেধিকবার শোনা গিয়েছে টুইঙ্কল খান্নার মুখে। রাজেশ খান্না আর ডিম্পল কাপাডিয়ার মেয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন ১৯৯৫ সালে ববি দেওলের সঙ্গে বরসত দিয়ে। অ্যাক্টিং কেরিয়ার খুব একটা লম্বা যেমন ছিল না, তেমন খুব একটা সাফল্যের মুখও দেখেননি টুইঙ্কেল।
২০১৫ সালে মিড ডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কলকে বলতো শোনা গিয়েছিল, তাঁর ছেলে আরভও নাকি তাঁর সিনেমা নিয়ে মস্করা করে। অক্ষয়-পত্নীর কথায়, ‘আমি ছেলেমেয়েদের আমার ছবি দেখতে দেই না। কিন্তু আমার ছেলে আরভ একেবারে যা তা। জানে একটা সিন ছিল, যেখানে আমি কোনও এক পুরুষের স্তনবৃন্তে চুমু খাচ্ছি। আরভ বার বার প্লে করে দেখেছিল ওটা। এমনকী ওটার কোলাজ বানিয়ে আমাকে জন্মদিনে উপহারও দিয়েছিল।’ প্রসঙ্গত সেই পুরুষ আর কেউ না, অজয় দেবগন।
টুইঙ্কল নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনয় করতে একেবারেই ভালো লাগত না তাঁর। ‘আমার শুধু মনে হত কখন শেষ হবে আর বাড়ি গিয়ে বই পড়ব। এরকমও হয়েছে সেটে বসে সেলাই করছি আমার স্পট বয় এসে বলছে, আপনি এটা করবেন না। সবাই আন্টি জি বলবে। আমাকে ওই ইমেজটা তৈরি করতে হয়েছিল, যা আমি একেবারেই নই।’
টুইঙ্কলকে শেষবার পরদায় দেখা গিয়েছে ‘লাভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’-তে, যা মুক্তি পায় ২০০১ সালে। আপাতত লেখিকা হিসেবেই দেখা মিলছে তাঁর। টুইঙ্কলের লেখা বেশিরভাগ বই হিট। মিসেস ফানি বোনস নামে ব্লগও লেখেন। অক্ষয় কুমারকে ২০০১ সালে বিয়ে করেন টুইঙ্কল। তাঁদের দুই সন্তান, ছেলে আরভ আর মেয়ে নিতারা।