মহিলা পরিচালকরা অ্যাকশনের দৃশ্য পরিচালনায় স্বচ্ছন্দ নয় কিংবা সেইসব ছবি এড়িয়ে চলেন-রুপোলি দুনিয়ায় প্রচলিত এই তত্ত্বে বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী শার্লিজ থেরন। দ্য ওল্ড গার্ল তারকা বললেন দুনিয়ার জানা উচিত আমাকে এই অ্যাকশন প্যাক সিরিজে পরিচালনা করেছেন একজন মহিলা-জিনা প্রিন্স-ব্রাইথউড। শুক্রবার থেকেই নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে নেটফ্লিক্সের এই সুপারহিরো ফিল্মের। এই ছবি নিয়ে সূদূর হলিউড থেকে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আড্ডা ছিলেন ছবির দুই লিডিং লেডি শার্লিজ থেরন এবং কিকি লেনে।
শার্লিজ জানান, আমার মনে হয় এটা একটা বিশাল বড়ো ভুল ধারণা। একজন ভালো পরিচালক ভালো গল্প বলবেন।সেখানে জঁর কোনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। আমরা যদি লিঙ্গের ভিত্তিতে সেই ভেদাভেদ শুরু করি তাহলে আমরা সেক্সিট হয়ে যায়। জিনা আগে কোনওদিন অ্যাকশন জঁর ছবি পরিচালনা করেনি। কিন্তু ওর মধ্যে সেই প্যাশনটা ছিল। সেটা থাকলেই মানুষ সব করতে পারে। সেখানে নারী-পুরুষকে আলাদা চোখে দেখাটা অর্থহীন। মেয়েরা সব অসাধ্য সাধন করতে পারে'।
এই ছবিতে শুধু অভিনয় করেননি দ্য ওল্ড গার্ডের যৌথ প্রযোজকের ভূমিকাতেও দেখা যাবে শার্লিজ থেরনকে। হলিউডে মহিলা পরিচালকের অ্যাকশন জঁরের অসাধারন কিছু কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেন অভিনেত্রী। বলেন, অস্কার জয়ী ক্যাথরিন বিগেলোর কথা। প্যাটি জেনকিনসের সঙ্গেও ২০০৩ সালে মনস্টার ছবিতে কাজ করেছেন শার্লিজ। প্রযোজনা করা বড়ো চ্যালেঞ্জ।
প্রযোজক-অভিনেতার সম্পর্কটা পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর দাঁড়িয়ে মেনে নেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘একটা ছবি তৈরির সময় প্রযোজকদের অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হয়, অভিনেতাদের উচিত সেগুলো খেয়াল রাখা। প্রযোজনা করলে ফিল্ম মেকিংয়ের অনেক বিষয়ের সঙ্গে অবগত হওয়া যায়,শেখা যায়’।
দেখুন শার্লিজ থেরনের সাক্ষাত্কার-
ইমেজ কমিকসের জনপ্রিয় সিরিজ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘দ্য ওল্ড গার্ড’। এই কাহিনি গড়ে উঠেছে একদল অমর যোদ্ধাকে কেন্দ্র করে। যেকোনো আঘাত থেকে দ্রুত সেরে ওঠার অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী এই দলের চারজন সদস্য।আচমকাই তাঁরা আবিষ্কার করবে আরেকজন অমরত্বের সত্ত্বার অধিকারীকে। যে ভূমিকায় রয়েছেন কিকি লেনে। অমরত্বের রহস্য জানতে তাঁদের পিছনে রয়েছে অজানা শত্রু,কেমনভাবে হবে এই যুদ্ধে জয় তাই এই ছবির উপজীব্য।