Padmapriya: ‘মিডিয়া আমাকেই উল্টে দোষারোপ করেছিল...’ কী নিয়ে এমন বললেন পদ্মপ্রিয়া

Padmapriya: শোনা যায়, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে বেশ কয়েকজনের সামনে চড় মেরেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, এই ঘটনার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে মিডিয়া রিপোর্টে উল্টে তাঁকেই দোষারোপ করেছে।

মালায়ালাম চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জানকীরামন সম্প্রতি কয়েক বছর আগে একটি তামিল চলচ্চিত্রের সেটে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। শোনা যায়, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে বেশ কয়েকজনের সামনে চড় মেরেছিলেন। পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অভিনেত্রী এদিন আরও জানান, এই ঘটনার পর চলচ্চিত্র নির্মাতাকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে মিডিয়া রিপোর্টে উল্টে তাঁকেই দোষারোপ করেছে। বিচারপতি হেমা কমিটির তদন্তের পরে মালয়ালম সিনেমায় নারীবিদ্বেষ এবং যৌন নির্যাতনের উপর ক্রমবর্ধমান ফোকাসের পরিপ্রেক্ষিতে পদ্মপ্রিয়ার এই মন্তব্য সামনে এসেছে। 

পদ্মপ্রিয়া যা বললেন

মঙ্গলবার কোঝিকোড়ের একটি অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরেন। তবে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতার নাম বা তিনি কোন চলচ্চিত্রের কথা বলছেন তা প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন যে সেই সময় মিডিয়া রিপোর্টে মিথ্যা দাবি করা হয়েছিল যে তিনি পরিচালককে চড় মেরেছিলেন এবং কেউ প্রশ্ন করেনি যে যদি এটি সত্য হয়, তাহলে তিনি কেন চলচ্চিত্র সমিতির কাছে অভিযোগ করেছিলেন।

৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা আরও বলেন যে এই ঘটনাটি একটি বৃহত্তর বিষয়কে প্রতিফলিত করে যেখানে মহিলাদের অভিজ্ঞতাগুলি প্রায়শই খারিজ করা হয় বা ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হয়। এই ঘটনার পরে, ইন্ডাস্ট্রি পরিচালককে ৬ মাসের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে অভিনেত্রী তামিল চলচ্চিত্রে কাজ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি জানান, তখন পর্যন্ত সিনেমার সেটে তার কোনও 'ভয়ঙ্কর' অভিজ্ঞতা হয়নি।

পরিচালকের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর পরিচালক তাঁকে সবার সামনে চড় মারেন। মুষ্টিমেয় কয়েকটি মালায়ালাম ছবিতে কাজ করা এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্র শিল্পে মহিলা পেশাদারদের মুখোমুখি হওয়া বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।

পদ্মপ্রিয়ার কেরিয়ার

২০০৪ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র সিনু বসন্তী লক্ষ্মী দিয়ে নিজের চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এরপর মালায়ালাম সিনেমায় নিজের নাম তৈরি করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন, যার মধ্যে শেষটি ছিল ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত থাঙ্গা মিনকাল। ২০১৪ সালের তামিল চলচ্চিত্র ব্রাম্মান-এ তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিন্তু তারপর থেকে তিনি আর কোনও তামিল ছবিতে কাজ করেননি।

বিচারপতি হেমা কমিটির রিপোর্টে মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের হয়রানি ও শোষণের বিষয়ে আলোকপাত করার পরে তাঁর কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে