আটের দশকের বলিউড পর্দায় খুব একটা সাহসী ছিল, এমন কথা অতি বড় হিন্দি ছবিপ্রেমী দর্শকও বলবে না। অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে প্রেম কিংবা চরম ঘনিষ্ঠতা 'বোঝাতে' পর্দায় চুমু খাবার আগের মুহূর্তে তাঁদের মুখের ওপর দুটি রঙিন ফুল নাড়ানো কিংবা গগনভেদী বিদ্যুতের আওয়াজ। ব্যাস! তাতেই যা বোঝার বুঝে যেত দর্শক। অবশ্য ব্যতিক্রমী ছবি যে একেবারেই ছিল না,তা নয়। তবে তা একেবারেই হাতে গোনা। এহেন সময়ে তৎকালীন সময়ের জনপ্রিয় বলি-নায়িকা পদ্মিনী কোলাপুরীর কান্ড দেখে হাঁ হয়ে গেছিল দেশের সংবাদমাধ্যমও। প্রকাশ্যে প্রিন্স চার্লসকে গলায় মালা পরিয়ে আলতো জড়িয়ে ধরে তাঁকে অতর্কিতে চুমু খেয়েছিলেন পদ্মিনী। চুমু পেয়ে রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজও!
১৯৮০ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন প্রিন্স চার্লস। লেডি ডায়ানার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার ঠিক ১ বছর আগে। এই ভারত সফরে মুম্বইয়ের রাজকমল স্টুডিওতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল বলিউডের ছবির শুটিং কীভাবে হয়, তা দেখা। তখন সেখানে পদ্মিনী অভিনীত 'আহিস্তা আহিস্তা' ছবির শুটিং চলছিল। এই খবর পেতেই স্টুডিও পাড়াতেই ব্রিটিশ যুবরাজের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারের জন্য হাজির হন পদ্মিনী। সৌজন্য সাক্ষাতের পর চার্লসের গলায় মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগতম জানিয়ে অতর্কিতে তাঁকে চুমু খেয়ে বসেন পদ্মিনী! যদিও সেই চুমুর চিহ্ন যুবরাজের গালে আঁকা হয়েছিল, তবে তাতেই হাঁ হয়ে গেছিল আসমুদ্রহিমাচল ভারত। স্বয়ং ব্রিটিশ যুবরাজও চমকে উঠেছিলেন পদ্মিনীর এহেন কাণ্ডে। অপ্রস্তুত হয়ে হেসেও ফেলেছিলেন। আর পদ্মিনী? তিনি ততক্ষণে এক গাল হেসে মঞ্চ থেকে নেমে পড়েছেন।
গোটা ঘটনার ভিডিওটি সামনে আসতেই হইহই পড়ে যায় গোটা দেশ জুড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। বহু বছর পর এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পদ্মিনী জানিয়েছিলেন তিনি স্রেফ গালে চুমু খেয়েছিলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তাতেই ঢিঢি পড়ে গেছিল চারপাশে। আরও জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার বছর কয়েক পর একবার ইংল্যান্ড ভ্রমণে গেছেন তিনি, সেখানেও এক ব্রিটিশ মহিলা তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন 'প্রিন্স চার্লসকে চুমু খাওয়া সেই মেয়েটি' হিসেবে!