মহালয়া থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। গোটা দেশজুড়েই পালিত হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রি। তবে দেশ নয়, এই দুর্গাপুজো বা নবরাত্রি উৎসব উদযাপন হচ্ছে পাকিস্তানেও। কী অবাক হচ্ছেন? তবে এটাই বাস্তব। আর শুধু এবার নয়, প্রতিবছরই হয়। কারণ, সেদেশে এখনও বহু হিন্দু নাগরিক রয়েছেন।
মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও করাচির নবরাত্রি উৎসব সেলিব্রেশনের একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটি আদপে শেয়ার করেছেন পাকিস্তানের প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ধীরজ মান্ধান। তিনি যে নবরাত্রি সেলিব্রেশনের ভিডিয়ো ক্লিপটি শেয়ার করেছেন সেটি আলোয় সজ্জিত করাচির রাস্তার। রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছে দেবী দুর্গার বড় ছবি, সেলিও আলো দিয়ে সাজানো। আর রাস্তা দিয়ে কিছুটা জেতেই রয়েছে দুর্গা মন্দির। যেখানে শিশুদের এবং অন্যান্যা আরও অনেককেই গরবা খেলতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১.২৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বয়েছে। ভিডিয়োর মাধ্যমে পাকিস্তানের করাচি শহরের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির ঝলক উপস্থাপন করেছেন ধীরজ মান্ধান।
আরও পড়ুন-নিউ ইয়র্কের গিয়েও মহা বিড়ম্বনায়! সেখানেও সেই 'হাওয়াই চটি'ই ভরসা সারেগামাপা খ্যাত সঞ্চিতার
পাকিস্তানে মিনি ভারত?
ভিডিওটির ক্যাপশনে ধীরজ মান্ধান লিখেছেন, 'নবরাত্রির চতুর্থ দিন। পাকিস্তানের করাচিতেও সেলিব্রেশন হচ্ছে। আমি আপনাকে বলছি, এটি একটা এমন এলাকা যেখানে আপনি হাঁটা দূরত্বের মধ্যে একটা মন্দির, মসজিদ, গুরুদোয়ারা এবং গির্জা সবই খুঁজে পাবেন। এই জায়গাটিকে অনেকে মিনি ইন্ডিয়া বলে ডাকে, তবে আমি এটিকে আমাদের পাকিস্তান বলতে পছন্দ করি।
ধীরজ মান্ধান লিথেছেন, এটা তাঁর প্রথম নবরাত্রি অভিজ্ঞতা। তিনি তাই লিখেছেন, ‘এই যাদুকর, মন্ত্রমুগ্ধকর এবং নবরাত্রির উত্তেজনা এই প্রথমবার অনুভব করছিলাম। সবাই খুশি, সবাই হাসছিল নাচছিল আর উৎসবের উত্তেজনা উপভোগ করছিল।’। ভিডিওতে দেখানো এলাকাটি বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, শান্তি ও সম্প্রীতি লালন-পালনের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন-'আমাদের সহজেই বন্ধুত্ব হয়েছে…', গৌরী খানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঠিক কী লিখলেন ফারহা?
নেট দুনিয়ার প্রতিক্রিয়া
মন ছুঁয়ে যাওয়া এই ভিডিয়ো ঘিরে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘এটা সেই পাকিস্তান যা আমি আরও দেখতে চাই - বৈচিত্র্যময়, শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ। ‘ আরেক দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘এমন ঐক্য দেখার কী সুন্দর দৃশ্য। এটা আমাকে আশা জাগাচ্ছে করে!’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘করাচি চমকে ভরা। উৎসবের চেতনা এখানে খুব প্রাণবন্ত।’ কারর মন্তব্য, ’আমি জানতাম না যে পাকিস্তানে নবরাত্রি এভাবে উদযাপিত হয়। সত্যিই আশ্চর্যজনক!’ আরেকজন লিখেছেন, 'করাচির নবরাত্রি ভারতের কিছু জায়গার চেয়েও বেশি প্রাণবন্ত দেখাচ্ছে!'
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার ২.১৭ শতাংশ হিন্দু নাগরিক রয়েছেন। আবার পাকিস্তানেই রয়েছে শক্তিপীঠের দুটি পীঠ। একটা পাকিস্তানের করাচির পারকাই রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থিত। আরেকটি হল হিংলাজ মাতা মন্দির।
]