সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার মিনহিল মালিকের মতো ঠিক একই কাণ্ড ঘটল পাকিস্তানি টিকটকার ইমশা রেহমানের সঙ্গে। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়েছে ইমশাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হওয়া বিতর্কের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিলেন এই টিকটকার।
ইমশার ভিডিয়োয় বেশ স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, ইমশা নিজের ব্যক্তিগত মুহূর্ত উপভোগ করছেন। শুধু ফেসবুক নয়, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপেও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিয়ো। স্বাভাবিকভাবেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং এবং নিন্দার শিকার হয়েছেন ইমশা।
(আরও পড়ুন: মেলালেন, তিনি মেলালেন- অতীতে আক্রমণ, এবার সেই SVF-এর সঙ্গেই সৃজিতের 'লহ গৌরাঙ্গের নাম রে'র প্রযোজনা রানার)
সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক নিন্দাজনক কমেন্টের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো কিছুটা বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইমশা। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কোনও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই বিষয়টির পর সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের গোপনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে।
ইমশার আগে অন্য এক পাকিস্তানি টিকটকার তারকা মানাহিল মালিকের সঙ্গেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। মানাহিল মালিকের অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল। যদিও মিনাহিল দাবি করেছিলেন, যে ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং এই বিষয়ে তিনি ফেডারেল তদন্ত সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
(আরও পড়ুন: ‘একেই বলে নিয়তি’, হারিয়ে যাওয়া স্ক্রিপ্ট ফিরে পেয়ে বললেন শেখর কাপুর)
মিনাহিল মালিকের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। শুধু নেটিজেনদের কাছে নয়, সহকর্মীদের কাছ থেকেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল মানাহিলকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি অর্জন করার জন্যই এই কাজটি ইচ্ছা করে মানহিল করেছিলেন, এমন দোষারোপ করেছিলেন অনেকেই। তবে ইমশার ক্ষেত্রে ওই একই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।