টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু মামলায় বেশ ভালোভাবেই জড়িয়েছেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে। শুধু অভিনেত্রীর পরিবার নয়, বন্ধু-বান্ধবদের বয়ানেও বারবার উঠে আসছে সাগ্নিককে নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি সাগ্নিক ঠিক কী কাজ করতেন। তবে তিনি যে বেশ খরচ করতেন তা পল্লবীর ঘনিষ্ঠদের কথায় স্পষ্ট। অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল পল্লবীর। তিনি তো সোজাসুজি প্রশ্ন তুলেছেন, জন্মদিনে বান্ধবীকে হিরের আংটি, লেটেস্ট আইফোন উপহার দিত সাগ্নিক। সেসবা টাকা কার? সাগ্নিকের নিজের না পল্লবীর?
পল্লবী দে-র বেস্টি, 'মা' খ্যাত ভাবনা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জানাচ্ছেন, সাগ্নিক খুব শর্ট টেম্পারড। একটা গাড়িও যদি ওকে ওভারটেক করে যেত, তাহলে পরে যেভাবে হোক গাড়িটাকে ক্রস করত। ইগোইস্টিক এবং অ্যাডামেন্ট বলেন তিনি সাগ্নিককে। সঙ্গে এটাও বলেন, রাগ হলে কখনও চিৎকার করত না পল্লবী। বরং নিজের ফোনটা বন্ধ করে কাজে ডুবে যেত। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে কোথাও ঘুরতে চলে যেত। আরও পড়ুন: আত্মহত্যা করেছিল পল্লবীর লিভ ইন পার্টনারের প্রাক্তন প্রেমিকাও! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ভাবনার দাবি সাগ্নিক কল সেন্টারে কাজ করে। পরিবারের কোনও ব্যবসাও নেই। তাই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারতাম না কী ভাবে সাগ্নিক এত কিছু অ্যাফর্ড করত! হন্ডা সিটিতে চড়ে ঘোরার টাকাই বা কোথা থেকে আসত। কথায় কথায় পল্লবীকে যে ঘুরতে নিয়ে যেত সেই টাকাই বা পেত কোথা থেকে।’
সঙ্গে পল্লবীর ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ভাবনা জানিয়েছেন, যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিন ছিল অভিনেত্রীর দিদার মৃত্যুবার্ষীকি। বাড়িতেও যাওয়ার কথা ছিল। যেই মেয়ে পরিবারকে পাগলের মতো ভালোবাসত, সেই মেয়ে কেন পরিকল্পনা করে ওইদিনই নিজেকে শেষ করে দেবে। একবার অন্তত মা-বাবাকে দেখতে যেত না কি?
সঙ্গে ভাবনা আরও জানিয়েছেন সাগ্নিক আর পল্লবী হ্যাপি গো লাকি টাইপ কাপল ছিল। আবার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়়াও করত। দু'জনে প্রায়ই ঘুরতে চলে যেত। আর সেখানে নাকি সঙ্গে থাকত পার্সোনাল ফোটোগ্রাফার। যে আইফোনে ওদের ছবি তুলে দিত। মূলত এই ফটোগ্রাফারের খরচ সাগ্নিক দিত। কারণ, যে ছেলেটি ওই ছবি তুলে দিত সে ওর চেনা ছিল।