আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বিচারের দাবিতে আজ ফের রাজপথে নেমেছে কলকাতাবাসী। রাজ্যের অনান্য প্রান্তের ছবিটাও এক। আলো নিভিয়ে মোমবাতি হাতে পথে জনতা। এই অন্ধকার হতাশরা নয়, বরং এই অন্ধকার প্রতিবাদের-প্রতিরোধের। আট থেকে আশি সকলেই এই লড়াইয়ে সামিল।
তিনিও মেয়ের বাবা! হাজারো কন্যাকে তিনি নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন। আরজি করের ওই চিকিৎসক তরুণীর যন্ত্রণার কথা চিন্তা করেছে ঢুকরে কেঁদেছে মন। এদিন মোমবাতি হাতে ‘জাস্টিস অফ আর জি কর’ স্লোগান তুলে পথে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
মাস কয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পণ্ডিতজি, কিন্তু শারীরিক ঝক্কির কথা দু-বার না ভেবে এদিন প্রতিবাদে সোচ্চার তাঁর কণ্ঠ। ছেলে অঞ্জনের সঙ্গে এদিন প্রতিবাদ ব়্যালিতে অংশ নেন তিনি। আজ জনতার সঙ্গে অবলীলায় মিশে গেলেন পণ্ডিতজি। পা মেলালেন, সুর চড়ালেন- ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস…’।
নতুন আশার আলোর খোঁজে এদিন গোটা শহরকে অন্ধকারে ঢাকল কলকাতাবাসী। ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ স্লোগানে মিলে মিশে একাকার কল্লোলিনী তিলোত্তমা!
যাদবপুর, শ্যামবাজার, সাউথ সিটি থেকে কলেজ স্কোয়ার- সর্বত্র এক ছবি। প্রতিবাদের এই অনন্য ভাষা সত্যি নজিরবিহীন। মানুষ বলছেন,'বিচার যত পিছোবে, মিছিল তত এগোবে'। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে। বসবে না প্রধান বিচারপতি-র বেঞ্চ। সন্ধ্যায় সেই খবর সামনে আসার পর হতাশা নেমে আসে গোটা বাংলা জুড়ে। শুনানি পিছোনোয় হতাশাগ্রস্ত তরুণী চিকিৎকের পরিবারও। এদিন আরজি করে পৌঁছে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানাল পরিবার। তরুণীর দেহ সৎকার করা পর্যন্ত পুলিশি তৎপরতা থেকে পরিবারের অন্যদের মৃতদেহের ধারেকাছে ঘেঁষতে না দেওয়া! তরুণী চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেন, গত ৯ অগস্ট তাঁদের উপরে এতটাই চাপ তৈরি করা হয়েছিল যে তাঁরা বাধ্য হয়ে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এত প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল....। আমরা টালা থানায় গিয়েছিলাম। টালা থানায় আমরা এক ঘণ্টা বসেছিলাম।'