Pandit Debashish Bhattacharya: বিশিষ্ট যন্ত্র সংগীত শিল্পী পন্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্য নিয়ে আসলেন প্রথমবার এক মঞ্চে চার, চারটি নতুন তার যন্ত্র যা শিল্পীর নিজ কর্তৃক উদ্ভাবিত ও পরিকল্পিত। নিজে নাম দিয়েছেন যথাক্রমে চতুরঙ্গী, গান্ধর্বী, আনন্দী, পুষ্প বীণা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ , শোভাবাজার রাজবাড়ির আঙিনায় প্রথমবারের মতো শোনা গেল এই চার নতুন সুর যন্ত্রকে পর, পর এক সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানের শিরোনাম "দেবতার"। পন্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্যের চারটি তার যন্ত্র, সেই থেকেই এই অনুষ্ঠানের নাম, 'দেবতার'। সঙ্গে তবলায় ছিলেন পন্ডিত কুমার বোস। এই চার তার যন্ত্রের পরিকল্পনা, বৈশিষ্ট্য, বৈচিত্র্য সব শ্রোতাদের কাছে পরিবেশিত হলো এই বিশেষ সন্ধ্যায়। ভারতীয় রাগ সংগীতের সঙ্গে নতুন ও পুরনোর এই ম্যাজিকাল সংযোজন শহরের শ্রোতাদের কাছে এক অন্যতম নতুন অভিজ্ঞতা ।
আরও পড়ুন - Kolkata Book Fair: মেলা বই, মেলা পাঠক! বইমেলার হিসেব কি শেষমেশ মেলে বই পড়ার সঙ্গে
দেবাশিসের জীবনের যাত্রা সংগীতের সঙ্গে গভীর এক আধ্যাত্মিক সংযোগ। তাঁর মতো সংগীতজ্ঞরা ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন, শব্দের নতুন দিগন্তকে জীবন্ত করে তোলেন। তাঁর অবদান সত্যিই অসাধারণ, চারটি অনন্য তার যন্ত্র তৈরি করেছেন যা তাদের শব্দের দিক থেকে তথা দৃশ্যত স্বতন্ত্র। দেবতার, তাদের বহুমুখীতার সঙ্গে, সংগীতের বিশাল ধারার মধ্যে ব্যবধান পূরণ করে, প্রতিটি অর্থে তাদের সর্বজনীন যন্ত্রে পরিণত করে।
আরও পড়ুন - Saraswati Puja At Visva Bharati: ‘বিশ্বভারতীর গাফিলতির জন্যই…’ ছাত্রদের মূর্তিপুজো নিয়ে কী বলছেন আশ্রমিকরা
পন্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্যের কাজ ভারতীয় সংগীতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, ঐতিহ্যকে উদ্ভাবনের সঙ্গে মিশিয়ে তার সংরক্ষণ করে। এই অনুষ্ঠানে আরো চমক ছিল।এদিন ধ্রুপদী সংগীত এবং নৃত্যের প্ল্যাটফর্ম অখিল ভারতীয় সংগীত-কলা-রত্ন সভার উদ্বোধন হলো ( ABSKRS )। পন্ডিত দেবাশিস ভট্টাচার্য বললেন, "দেবতার উপস্থাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত, যা আমার সৃষ্টি। এটা একটি এক্সক্লুসিভ কনসার্ট, যার সঙ্গে ছিলেন কিংবদন্তি তবলা বাদক পন্ডিত তন্ময়কুমার বসু। এ বছর থেকে এবিএসকেআরএস জীবনকৃতী সম্মাননা শুরু হল। প্রথম বছর এই সর্বভারতীয় সম্মানে ভূষিত করে ধন্য হলো এই সভা প্রাপক হলেন সেতার আচার্য পন্ডিত মনিলাল নাগ ও বেনারস ঘরানার প্রবাদ প্রতীম তবলিয়া বিদ্বান কুমার বসু।
আরও পড়ুন - HT Bangla Special: ফোর্ট উইলিয়ামের নয়া নাম ‘দেশে’ ফেরাল বর্গিদের? HT বাংলায় আলোচনায় ইতিহাসবিদ
প্রতি বছর, এই জাতীয় স্তরের প্ল্যাটফর্মটি ভারতের সবচেয়ে সংগীত-প্রেমী শহরগুলিতে আয়োজন করবে সংগীতের কর্মযজ্ঞ ও অনুষ্ঠান । যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, মুম্বাই, পুনে, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং আরও অনেক শহর।"। এই সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোভা বাজার রাজবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, নৃত্য শিল্পী অলকানন্দা রায় প্রমুখ।