সম্প্রতি এই বছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হল। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, এই বছর পদ্মশ্রী পেয়েছেন পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। আর এই খবর যখন প্রকাশ্যে আসে তখন তিনি পন্ডিত বিক্রম ঘোষের সঙ্গে আইআইটি খড়গপুরের স্প্রিং ফেস্টে সরোদ বাজাচ্ছিলেন শনিবার। আর সেখানেই এই ৬৩ বছর বয়সী সরোদ বাদক তাঁর প্রাপ্ত এই সম্মানকে উৎসর্গ করলেন ভারতের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতকে।
আরও পড়ুন: অক্ষয়ের দাপটে একঘরে কঙ্গনার ছবি! দুদিনেই ৩০ কোটি টপকে গেল স্কাইফোর্স, কী হাল ইমারজেন্সির?
কী ঘটেছে?
পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন ম্যান্ডোলিন দিয়ে। তাঁর দাদু বিভূতি রঞ্জন মজুমদারের কাছেই তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা পান যিনি কিনা আবার উস্তাদ বাহাদুর খানের ছাত্র ছিলেন। এবং তিনি উস্তাদ আলি আকবর খানের থেকেও তালিম পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেডারেশনের রক্ত চক্ষুর সামনে কৌশিক-জয়দীপ! শ্যুটিংয়ের অনুমতি পেলেন অরিন্দম?
নিজের অতীত এবং পরিবারকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার এদিন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, 'আমার মা একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন আর বাবা সেতার বাজাতেন ছোটখাটো মিউজিক প্রোডাকশনের জন্য। বাবার অনেক দায়িত্ব ছিল। তিনি তাই ভারতীয় ক্লাসিক্যাল মিউজিশিয়ান হিসেবে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে পারেননি. কিন্তু উনি আমার মধ্যে দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করেন।'
এদিন পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ আরও জানান, 'ছোট থেকেই আমি সঙ্গীতের সঙ্গে একটা অদ্ভুত মনের আত্মিক টান অনুভব করতাম। খুব প্র্যাকটিস করতাম। কোনও গডফাদার ছাড়াই ভারতীয় শাস্ত্রী সঙ্গীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সত্যিই আমার জন্য কঠিন ছিল। আমাদের গুরুদের তালিম, বাবা মায়ের আশীর্বাদ এবং ত্যাগ আমায় এই মাইলস্টোন ছুঁতে সাহায্য করল।'
আরও পড়ুন: 'আমার সেই সাহস, বুকের পাটা আছে যে...', কোল্ডপ্লের কনসার্টে বেসুরে গাইতেই জ্যাসলিনকে কটাক্ষ কিশোরী অন্তরার!
তিনি এদিন পরিশেষে আরও জানান যে তিনি তাঁর পদ্মশ্রী পুরস্কারটি দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে উৎসর্গ করলেন। একই সঙ্গে এই পুরস্কার তাঁর কাঁধে আরও দায়িত্ব চাপিয়ে দিল বলেই তিনি জানান এদিন।