অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের নিয়ে নানা ধরনের প্রেমের গল্প নিয়ে ছবি হয়েছে। সেই গল্পে নানা দিক, নানা প্রেক্ষাপট, নানা কিছু উঠে এসেছে। কিন্তু বয়স্কদের প্রেম, দাম্পত্য জীবন নিয়ে বাংলায় খুব কমই ছবি হয়েছে। আর সদ্যই তেমনি একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে এই রাত তোমার আমার। হঠাৎ এমন একটা ছবি কেন বানালেন প্রকাশ্য আনলেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'একটা সময় হানিমুন পিরিয়ড, শরীরের মোহ চলে যায়, তখন...' ভালোবাসা আর অভ্যাসের ফারাক বোঝালেন পরম
কী জানালেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়?
এই রাত তোমার আমার কেন বানালেন, কোন ভাবনা কাজ করেছে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, 'এটা বন্ধুত্বের ছবি। আসলে দুটো মানুষ যখন ৫০ টা বছর পার করে ফেলে একসঙ্গে, অনেকটা পথ হাঁটা হয়ে যায় তখন তাঁরা সব থেকে বেশি যদি কিছু হয় সেটা তাঁরা বন্ধু দুজন। কী পরিমাণ নির্ভরতা থাকে, খিটখিট করছে, তাও একটা অদ্ভুত ব্যবহার। তার মানে এটা নয় যে এদের মধ্যে সমস্যা ছিল না। ১০০ বার ছিল। কিন্তু সমস্যার পর তাঁরা একসঙ্গে থেকে গেছেন। আর এতে তাঁরা আর কিছু না হোক দুজন বন্ধু হতে পেরেছেন। নির্ভরতা আছে।'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আসলে আমি তো আমার বাবা মাকে বেশি বয়সে দেখতে পাইনি। অল্প বয়সে দুজনে চলে গেছেন। আরও ৩-৪ বছর কাটলে ওদের ৫০ তম বিবাহবার্ষিকী হতো। বাবা মাকে হারানোর একটা শূন্যতা আমার আছে। আমার বাবা মাকে এই জায়গাটায় যেতে দেখতে পারিনি। এটা আমার মাথায় ঘুরতই। অবচেতনেও হয়তো ছিল। তাই আমাদের কিছু ছবিতে দেখবে এটা ধরা পড়েছে। সোনার পাহাড়েও এসেছিল ভীষণ ভাবে। বয়স্ক লোকেরা আমাকে ফ্যাসিনেট করে।'
পরমব্রত জানান মূল ভাবনা নয়। বরং অন্য একজনের। এই বিষয়ে পরিচালক জানান, 'হঠাৎ করেই চিরঞ্জীব বলে বম্বেতে একটি ছেলের থেকে একটি হিন্দি স্ক্রিপ্ট পাই ২০২৩ সালে। আমি পড়ে মনে হল আমি যেন এটাই খুঁজছিলাম। যদিও ছবিটা বানানোর সময় অনেক পরিবর্তন করেছি। কিন্তু মূল ভাবনা এক।' পরমের কথায়, কিছু মাস পর হইচইয়ের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি করার কথা হয়। সেই সময়ই তিনি তাঁদের এই স্ক্রিপ্ট শোনান, শুধু তাই নয় স্ক্রিপ্ট শুনে তাঁরা কেঁদে ফেলেন বলেও জানান পরিচালক।