বাংলার পাশাপাশি হিন্দিতেও সমান তালে অভিনয় করে চলেছেন। বাংলায় পরিচালক, অভিনেতা হিসাবে কাজের পাশাপাশি, খুব শীঘ্রই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ফিরছেন হিন্দি ওটিটি-র দুনিয়ায়। সম্প্রতি Sony LIV শো-তে মুক্তি পেয়েছে ‘জেহানাবাদ – অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার’। যেখানে একজন নকশাল নেতার ভূমিকায় দেখা যাবে পরমব্রতকে। রাজীব বার্নেওয়াল এবং সত্যাংশু সিং-এর পরিচালনায় এই ওয়েব সিরিজে পরমব্রতর চরিত্রটি তুলনামূলক ছোট হলেও ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।
‘জেহানাবাদ – অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ওয়েবসিরিজটি মূলত ভালোবাসা আর যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি। এই ওয়েব সিরিজের গল্প ও তাঁর চরিত্র নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিনিধি রুচি কৌশলের সঙ্গে কথা বলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
পরমব্রতর কথায়, অন্ধকার জগত, সব সময়ই উজ্জ্বল মানুষদের আকর্ষণ করে। এই ওয়েব সিরিজও দীপক কুমারের চরিত্রটি ঘিরেই আবর্তিত হয়। যদিও ওয়েবসিরিজের প্রতিটা এপিসোডে দীপক কুমারের উপস্থিতি খুবই স্বল্প। মাঝে মধ্যে চরিত্রটি আসে আবার হারিয়ে যায়। কিন্তু আবার দীপকের জন্যই কেন্দ্রীয় চরিত্র ঋত্বিক ভৌমিক এবং ওয়েব সিরিজের অন্যান্য গল্পগুলি আবর্তিত হয়। দীপক কুমার কজন নিম্নবর্ণের মানুষ, অথচ উনি উচ্চ শিক্ষিত, ক্ষরধার বুদ্ধি এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বিতর্কে তিনি যেকোনও ব্যক্তিকে হারিয়ে দিতে পারেন। বিহারের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকার সময় তিনি অত্যাচারিত হন, আর এরপরেই নিজের কাঁধে তিনি অস্ত্র তুলে নেন। অস্ত্রকেই প্রতিবাদের একমাত্র মাধ্যম বলে মনে করেন দীপক। গরিব মানুষদের কাছে হয়ে ওঠেন মসিহা।
সশস্ত্র সংগ্রামে পরমব্রত কতটা বিশ্বাসী? সেপ্রশ্নে পরমব্রতর উত্তর, ইতিহাস সাক্ষী যুগে যুগে বিপ্লব এসেছে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। বহুবার বহু প্রাচীন প্রথাকে ভাঙতে মানুষ সহিংস হয়ে উঠছে। যদিও আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এখন আর হিংসা, সশস্ত্র আন্দোলন সে অর্থে দেখা যায় না। আর আমি মনে করি সহিংসা কোনও বিকল্প নয়। এতে হয়ত কোনও গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক সমাধান হতে পারে, তবে সেটা আলোচনার মাধ্যমেও সম্ভব। যদি কেউ শুনতে চায় তাহলে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পথেও প্রতিবাদে যাওয়া যেতে পারে। দীপক বিপ্লবে জন্য যে পন্থা গ্রহণ করেছেন তার সঙ্গে আমি একমত নই। তবে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে কেন সে এই পথ বেছে নিয়েছে। হয়ত আপনি ভাবতে পারেন, কে-ই বা সঠিক! দুপক্ষই তো ভুল পথ বেছে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, 'জেহানাবাদ – অফ লাভ অ্যান্ড ওয়ার'-এ মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে ঋত্বিক ভৌমিক ও হর্ষিতা গৌরকে। কলেজের অধ্যাপকের ভূমিকায় রয়েছেন ঋত্বিক আর হর্ষিতা কলেজ ছাত্রীর ভূমিকায়। তাঁদের মধ্যে যখন প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হবে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তখন উত্তপ্ত। সেসময় তাঁদের প্রেম নতুন মোড় নেবে।