কে কাকে ভোট দিল? এনিয়ে লোকজনের চিরকালই কৌতুহল থাকে। শহর কলকাতায় পাড়ার আড্ডা কিংবা চায়ের দোকানে রাজনীতি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে, এছবি বহু পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য এই বিষয়গুলি ‘সিক্রেট’ রাখেন, কেউ আবার 'ওপেন সিক্রেট'। সেলেবদের ক্ষেত্রেও তাই। কে কোন দলের সমর্থক, তা নিয়ে কেউ কেউ প্রকাশ্যেই কথা বলেন, কেউ আবার বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করেন।
সম্প্রতি লোকসভা ভোটের আবহে টলিপাড়ার বহু তারকাই নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে খোলামেলাই কথা বলছেন। কেউ আবার সরাসরি যুক্ত হয়েছেন রাজনীতির সঙ্গে। আবার অনেকেই রাজনীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতেই পছন্দ করেন। ১ জুন শেষদফার নির্বাচনে কলকাতার বহু তারকা থেকে আম-আদমি, অনেকেই ভোটের কালি লাগানো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তেমনই ভোট দিয়ে, আঙুলে কালি লাগিয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী, সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীকে।
সে তো নাহয় হল, তবে পিয়ার সেই পোস্ট থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে তিনি BJP-কে ভোট দেননি! সত্যিই কি তাই? কী এমন আছে সেই পোস্টে?
পিয়া চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই দেখবেন, সেখানে তাঁকে ট্যাগ করে তাঁরই এক পরিচিত ব্যক্তি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে পিয়া চক্রবর্তী ছাড়াও আরও কয়েকজন একসঙ্গে ভোটের কালি লাগিয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন। রয়েছে এক শিশুও। সেই পোস্টের ক্যাপশানেই লেখা হয়েছে, ‘No Vote For Bjp’। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় বিজেপিকে কোনও ভোট নয়। সেই পোস্টটি শেয়ার করা রয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রামেও। ১জুন, শনিবার ভোট দেওয়ার পরই এই পোস্টটি করেছিলেন পিয়া।

এদিকে কর্মজীবনে বহুদিন হল সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করছেন পিয়া চক্রবর্তী। সরকারি উদ্যোগে তৈরি হওয়া ‘দেউচা পাঁচামি’ এক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। যে কমিটিতে ছিলেন পিয়া চক্রবর্তী। তখন পিয়া অবশ্য ছিলেন অনুপম রায়ের স্ত্রী। তবে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তাঁরা একে অপরকে সেই সময়ই নাকি ভালোভাবে চিনেছিলেন। সেখান থেকেই নাকি তাঁদের সম্পর্ক গড়ায় পরবর্তী ধাপে। এরপরের কথাগুলি এতদিনে অনেকেরই জানা। ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর আইনি বিয়ে সারেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী।