নারী-পুরুষ থেকে সমকামী, উভকামী, রূপন্তরকামী সব ধরণের মানুষের সমান অধিকারের পক্ষে সওয়াল করলেন সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। সমকামী-উভকামী-রূপন্তরকামীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ২৫ বছর পূর্তিতে এই পোস্ট করেছেন পিয়া।
ঠিক কী লিখেছেন পিয়া চক্রবর্তী?
পিয়া লিখেছেন, ‘কার সঙ্গে থাকব, নিজের ঘরে কেমন করে শরীর বা মন রাখব, No কৈফিয়ত, No নজরদারি’। শেষে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘Happy 25th @sappho.for.equality ! Shine on’। পিয়া চক্রবর্তী তাঁর পোস্টে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন, প্রথমটিতে রয়েছে বিভিন্ন রঙে রঙিন টেলিফোন। দ্বিতীয়টিতে বিভিন্ন রঙের ফিতে বাঁধা দড়ি, তৃতীয়টিতে নানান কথা লেখা কাগজের কোলাজ, যার কোনটিতে লেখা, ‘মেয়েতে মেয়েতে প্রেম হয়েছে, পিতৃতন্ত্র উল্টে গেছে’। কোনওটিতে লেখা, ‘পায়ে পা মেলাই, কাঁধে কাঁধ, এপার ওপারে সেতু বাঁধ।’ আবার কোথাও লেখা, 'পুরুষ দেহে নারীর কথা, এটাই আমার বাস্তবতা, নারী দেহে পুরুষকথা, এটাই আমার বাস্তবতা।' কোনওটিতে লেখা, 'সম নাকি অ-সম, কিবা আসে যায়, অধিকারের লড়াই এটা হাত মিলিয়ে আয়।'
শেষ পোস্টেও সংস্থার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তৈরি একটা কাপড়ের ব্যাগে ৪ মহিলাকে একসঙ্গে পাশাপাশি হেঁটে যেতে দেখা যায়।
পিয়া চক্রবর্তীর এই পোস্টে অনেকেই লাইক, কমেন্ট করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন তাঁর অভিনেতা স্বামী পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ঘর বেঁধেছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। নভেম্বরের এক সকালে তাঁদের বিয়ের খবর সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল পরম-পিয়া। ২০২১ সালে পিয়ার প্রথম বিয়ে ভাঙে। অনুপম রায়ের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে অনেকেই তখন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম টেনেছিলেন। যদিও তখন তাঁরা এটিকে গুজব বলে হাওয়ায় উড়িয়ে দেন। পরে ২০২৩ সালের শেষে সেই পরমব্রতর সঙ্গেই বিয়ে করার কারণে কম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়নি নব দম্পতিকে।
তবে যে যাই বলুন না কেন, বিয়ের পর একসঙ্গে দিব্যি খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছেন পরমব্রত-পিয়া। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের মধুচন্দ্রিমা ডায়েরি থেকে বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন পিয়া চক্রবর্তী।