সেই মর্চ মাস থেকে শুরু হয়েছিল পরিণীতি চোপড়া আর রাঘব চাড্ডার সম্পর্কের গুঞ্জন। এতদিন ধরে যখনই দুজনকে সামনে পেয়েছে মিডিয়া, বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে এসেছে। সম্পর্ক নিয়ে শেষেরদিকে লুকোচুরি সেভাবে ছিল না। কখনও বান্ধবীকে নিয়ে আইপিএলের মাঠে খেলা দেখতে যেতেন আপ নেতা তো কখনও আবার দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে আনতে যেতেন। কিন্তু শুভকাজ কবে হবে তা নিয়ে রা কাটেনি। তাতে অবশ্য চাপা থাকেনি তারিখ। সপ্তাহখানেক আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল ১৩ মে দিল্লিতে রাঘবের বাসভবন দিল্লির কনট প্লেসের কাপুরথালা হাউসে করবেন আংটি বদল। তবে, সাংবাদিকদের এতদিনের সব ইচ্ছে মেটালেন দুজনে অনুষ্ঠান শেষে। শনিবার রাতে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ির বাইরে এসে ছবি দিলেন মিডিয়াকে।
রাঘব আর পরী হাত ধরে বাইরে বের হতেই শুরু হয় চিৎকার। ততক্ষণে লজ্জায় লাল অভিনেত্রী। গাল দুটোয় গোলাপি আভা। এক পাপারাৎজিকে মস্করা করে বলতে শোনা যায়, ‘আরে রাজনীতি আর পরী দুটোই’! রাঘবের মুখেও চওড়া হাসি। এই সময় তাঁকে ‘জিজাজি’ বলেও ডাকতে থাকে প্যাপসরা। আবার কেউ বা পরিণীতিকে নাম দিয়ে দেন ‘ভাবি’।
রাঘবই মাসখানেক আগে সাংসদ ভবনের বাইরে বলেছিলেন, ‘পরিণীতি না, রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন।’ রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতির নাকি একে-অপরকে চেনেন কলেজে পড়ার সময় থেকেই। তাঁরা লন্ডনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তবে তখন ছিল বন্ধুত্ব, পরে সেটাই অন্য রূপ নেয়।
শনিবার রাতের অনুষ্ঠান ছিল তারকাখচিত। অতিথি তালিকায় ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আদিত্য ঠাকরে। বাদগানের সাক্ষী থাকতে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। দুজনেই সেজেছিলেন সাদা রঙের পোশাকে। রাঘব পড়েছিলেন আচকান, যেটি তৈরি করেছিলেন তাঁর কাকা, ফ্যাশন ডিজাইনার পবন সচদেব। আর পরিণীতির পোশাকের দায়িত্ব ছিল মনীশ মালহোত্রার ওপর। যাতে ছিল মুক্তোর কাজ। চুল খোলা রেখেছিলেন ইশকজাদে অভিনেত্রী। ন্যুড মেকআপ। কপালে শুধুই একটি টিকলি। কানে ম্যাচিং মুক্তোর দুল।
শনিবার রাতেই আংটি বদলের পর রাঘবের সঙ্গে তিনটি ছবি শেয়ার করেন নেন অভিনেত্রী। আর সঙ্গে লেখেন, ‘আমি যা কিছু চেয়েছি… আমি হ্যাঁ বলেছি।’ এর সঙ্গে আংটির একটি ইমোটিকনও তিনি পোস্ট করেছেন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)