এয়ারপোর্টের ভেতরে যে কোনও খাবারের দামই যে অতিরিক্ত বেশি হয় তা সকলেরই জানা। প্রায় তিন গুণ দাম দিয়ে খাবার বা জল কিনতে হয় এয়ারপোর্টের ভেতরে। কিছুদিন আগে সংসদে এই বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা। তারপর কী হল?
কী বলেছেন রাঘব?
পরিণীতির শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সংসদে দাঁড়িয়ে এয়ারপোর্টের ভেতরে খাবারের অতিরিক্ত দাম নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় রাঘব চাড্ডাকে। রাঘব বলেন, এয়ারপোর্ট-এর ভেতরে অতিরিক্ত দাম দিয়ে খাবার কিনতে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। যে জলের বোতলের দাম বাইরে ২০ টাকা, সেই জল এয়ারপোর্ট -এর ভেতরে কিনতে হয় ১০০ টাকা দিয়ে। এই অতিরিক্ত দাম নিয়ে সরকারের একটা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সরকারের উচিত একটি কম মূল্যের ক্যান্টিন তৈরি করা এয়ারপোর্ট-এর ভেতরে।
আরও পড়ুন: লেখা জয় শ্রী রাম, রয়েছে মন্দিরের মোটিফ, অভিষেকের ‘রাম জন্মভূমি’ হাতঘড়ির দাম কত জানেন?
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানেই বিয়ে হবে', তৃতীয়বার ছাদনাতলায় যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু রাখির! পাত্র কে জানেন?
এরপরেই ভিডিয়োয় দেখানো হয়, কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের ভেতরে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ নামের একটি ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা হয় যেখানে কম মূল্যে খাবার এবং জল পাওয়া যাচ্ছে। এটি যে শুধুমাত্র রাঘবের প্রস্তাবের ফলেই সম্ভব হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এটিকে নিজের জিত বলে দেখতে নারাজ রাঘব, তিনি এই ব্যবস্থাপনাকে গোটা জনতার জিত বলে দেখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন।
তবে রাঘব যাই বলুন না কেন, রাঘবের স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া কিন্তু স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। ভিডিয়োটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'তোমার জন্য আমি ভীষণ গর্বিত। তুমি একজন প্রকৃত নেতা। মানুষের সমস্যা সমাধান করার জন্য সবসময় এগিয়ে থাকো তুমি।'
পরিণীতি আরও লিখেছেন, ‘বিমানবন্দরে অতিরিক্ত মূল্যের খাবার সত্যিই একটি ভীষণ সমস্যাজনক ব্যাপার। আপনার প্রস্তাব পরিবর্তন এনেছে এই সমস্যার। বিমানবন্দরে সস্তা খাবার এবং পানীয়র জন্য খুব আনন্দিত। (হার্ট আই ইমোজি), তোমার জন্য গর্বিত আমার রাগাই ( স্পার্কলস ইমোজি)।’
প্রসঙ্গত, রাঘব এবং পরিনীতি ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। উদয়পুরে পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন তাঁরা। বর্তমানে অমর সিং চমকিলা-য় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে পরিণীতিকে।