বক্স অফিস কাঁপছে পাঠান ঝড়ে। ‘জিরো’র ব্যর্থতা অতীত, চার বছর পর বাদশার কামব্যাক পুরোদস্তুর সফল। প্রতিদিনই বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে শাহরুখ-দীপিকা-জনের ‘পাঠান’। মুক্তির তৃতীয় দিন ফের নতুন পালক ‘পাঠান’-এর তাজে। সবচেয়ে দ্রুত বিশ্ব বক্স অফিসে গ্রস ৩০০ কোটি টাকা কামানো বলিউড ছবির তকমা পেল এই ছবি। মাত্র তিন দিনেই এই ছবির কালেকশন দাঁড়িয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা।
তৃতীয় দিনে ছবির কালেকশন ভারতে সামন্য কমেছে। তৃতীয় দিন পাঠানের নেট আয় ছিল ৩৮ কোটি টাকা (হিন্দি সংস্করণ)। এর জেরে শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে মোট (নেট) ১৬১ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে শাহরুখ খানের এই ছবির। অন্যদিকে তামিল ও তেলুুগু ভার্সন মেলালে আরও ৫.৭৫ কোটি টাকা যোগ হবে ‘পাঠান’ পরিবারের ঝুলিতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশের বক্স অফিসে ১৬৬.৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ফিল্ম।
ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শের দেওয়া তথ্য অনুসারে তিন দিনে দেশের বক্স অফিসে পাঠানের গ্রস কালেকশন ২০১ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ছবির গ্রস আয় ১১২ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকা।
জানিয়ে রাখি, বক্স অফিসে গ্রস আয় বলতে কোনও ছবির টিকিট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় সেই অঙ্কটা বোঝায়। নেট বক্স অফিস কালেকশনের অর্থ হল সরকারের তরফে বিভিন্ন ট্যাক্স ( যেমন-সার্ভিস ট্যাক্স, এন্টারটেনমেন্ট ট্যাক্স) কেটে নেওয়ার পর যে টাকা কোনও ছবি আয় করে। গ্রেস ফিগার সবসময় নেট ফিগারের চেয়ে বেশি হয়। যেহেতু রাজ্য ভেদে ট্যাক্সের পরিমাণ আলাদা, তাই কোনও ছবির গ্রস ফিগার সারা দেশে এক হলেও নেট ফিগারের বিরাট মাত্রায় হেরফের হতে পারে। এর সঙ্গে আরও একটা বিষয় জড়িত আছে, বক্স অফিসের নেট ফিগারে ডিস্ট্রিবিউটারদের শেয়ার যুক্ত থাকে। একটা ছবি থিয়েটারে যারা চালাচ্ছেন তাঁরাও একটা লভ্যাংশ পান।
শনিবার ও রবিবার সপ্তাহান্তে ‘পাঠান’-এর কালেকশন ভারতে এক লাফে অনেকখানি বেড়ে যাবে। শনিবার ৪০ কোটি এবং রবিবার ৫০ কোটির ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারে এই ছবি।
একের পর এক ফ্লপের ভারে জর্জরিত শাহরুখ খান ‘জিরো’র (ডিসেম্বর, ২০১৮) পর লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ‘পাঠান’-এর শ্যুটিং শুরু করেন শাহরুখ। ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে আরও লম্বা সময় লাগিয়েছেন কিং খান। শাহরুখের রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা, সমালোচকরা আগেই বলেছিলেন ‘পাঠান’ শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি হতে চলেছে, প্রত্যাশার পারদ শুরু থেকেই চড়ছিল এই ছবিকে ঘিরে। সেই প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি সফল শাহরুখ, এমনটা বলাই যায়।