নিয়ম লঙ্ঘন করার জের,অভিনেত্রী পায়েল রোহাতগির টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিল টুইটার। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে। প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী পায়েল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মত প্রকাশে সবসময়ই এক পা বাড়িয়ে থাকেন। কাশ্মীর ইস্যু থেকে সন্ত্রাসবাদ,পাকিস্তান থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সব নিয়েই বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকেন এই অভিনেত্রী। বুধবার আচমকাই পায়েলের অ্যাকাউন্ট বাতিল করেদিল টুইটার। এই বিষয়ে ফলোয়ারদের কাছে সাহায্য চেয়ে ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করলেন নায়িকা।
টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল হওয়ার স্ক্রিনশট শেয়ার করে,তিনি বলেন, কেন আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হল?
তিনি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে উল্লেখ করেন, ই-মেল মারফত এই সম্পর্কে তাঁকে কোনও তথ্য নাকি সরবারাহ করেনি টুইটার। আরও যোগ করেন, ‘আমি কোনওদিন কাউকে গালিগালাজ করিনা, আমি কিছু তথ্য তুলে ধরবার চেষ্টা করি, সেটা কেন আটকানোর চেষ্টা চলছে? কিছু লিবারেলস এবং এক্সট্রিমিস্ট আছেন যাঁরা টুইটারকে কন্ট্রোল করে,তাঁরাই এমন করছে। দয়া করে আপনারা টুইটার কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করুন কেন আমার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হল? তা না হলে আপনাদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারব না’।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ কর্মীদের উপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় রঙ্গোলি চান্দেলের বিতর্কিত টুইটের জেরে সাসপেন্ড হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতের দিদির অ্যাকাউন্ট। অন্যদিকে পায়েলের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে নানারকম প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে টুইটারে। অনেকেই এই ঘটনাকে বাক স্বাধীনতার বিরোধী বলে উল্লেখ করে #BringBackPayel দাবি জানাচ্ছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মহেশ ভাট, সলমন খানদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পায়েল। নায়িকার পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রয়াত অভিনেতার অনুরাগীরাও।
প্রসঙ্গত গত বছর টুইটারে ভিডিয়ো বার্তায় জহরলাল নেহেরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বুন্দি থানায়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতেও নেওয়া হয়েছিল পায়েলকে। পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় পায়েল রোহাতগিকে।