গত সোমবার ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। বোনের হাত ধরে দেশ ছাড়লেও বিমানে ঠাঁই হয়নি তাঁর দুই পোষ্যর। বাংলাদেশেই থেকে গিয়েছিল হাসিনার বিড়াল এবং জার্মান শেফার্ড কুকুরটি। উন্মত্ত জনতা যখন গণভবনে ঢুকে পড়ে তখন তারা এক এক করে সেখানকার আসবাব পত্র থেকে শুরু করে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শাড়ি, অন্তর্বাস সব চুরি করে নিয়ে পালায়। তখন তাঁরা মোটেই বাদ দেননি হাসিনার দুই পোষ্যকে। মালিক না ফিরলেও, এদিন তারা দুজনেই আবার গণভবনে ফিরে এল।
গণভবনে ফিরল হাসিনার বিড়াল
শেখ হাসিনার প্রিয় পার্সি বিড়ালটিও গণভবনের অন্যান্য জীব জন্তু যেমন হাঁস মুরগির সঙ্গে চুরি হয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয় সেটিকে আবার ৪০ হাজার বাংলাদেশি টাকায় বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছিল। এদিন বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বা স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স সেই বিড়ালটিকে ফিরিয়ে এনেছে। কেবল হাসিনার পছন্দের বিড়াল নয়, জার্মান শেফার্ড কুকুরটিও ফিরে এসেছে।
এদিন এই বিষয়ে অভয়ারণ্য নামক একটি সংগঠন ফেসবুকের পাতায় একটি পোস্টে জানায় শেখ হাসিনার বিড়ালটিকে গণভবনে ফেরানো হয়েছে। এছাড়াও ফিরেছে জার্মান শেফার্ড কুকুরটিও। এটি শাম্মি ইসলাম নামক এক মহিলার কাছে ছিল বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। এবার তাঁরা চেষ্টা করছেন গণভবন থেকে লুঠ হয়ে যাওয়া অন্যান্য পশু পাখিদের ফেরানোর। একই সঙ্গে যিনি গণভবনে এই পশু পাখিদের দেখভাল করতেন তাঁকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার জীবগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত সোমবারই একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় এই জার্মান শেফার্ড কুকুরটিকে টেনে হিঁচড়ে চেন দিয়ে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! তামিলনাড়ুর ধর্মীয় হোর্ডিংয়ে মিয়া খালিফার ছবি! ব্যাপারটা কী?
আরও পড়ুন: ম্যান্ডিকে টাইট দিতে নতুন ছক কোষল কথা, সত্যিই কি এভির সঙ্গে বিয়ে দেবে নায়িকা?
কী ঘটেছে বাংলাদেশে?
গত মাসে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। মাঝে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হলেও ধিকিধিকি জ্বলছিলই। পরে সেটা হাসিনার পদত্যাগ আন্দোলন হয়ে ওঠে। সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বোনের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর সেদেশের গণ ভবন দখল করে নেয় উত্তাল জনতা। একই সঙ্গে শুরু হয় সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের বাড়ি ভেঙে ফেলা বা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে ওপার বাংলার একাধিক তারকা সরব হয়েছেন।