সলমন খান বলিউডের চিরন্তন প্রেম। গত দেড় দশকে অ্যাকশন হিরো হিসাবেও তুমুল জনপ্রিয়তা ভাইজানের। মূলত কমার্শিয়্যাল ছবির সুপারস্টার হিসাবেই দর্শক চেনে সলমনকে। তবে নিজের তিন দশকের কেরিয়ারে সলমন এমন কিছু ছবি করেছেন যা বক্স অফিসে সফল না হলেও দর্শক মনে দাগ কেটেছে। যার অন্যতম ফির মিলেঙ্গে। নব্বইয়ের দশকে সলমন খানের নায়িকা হিসাবে কাজ করেছেন রেবতী।
লাভ ছবিতে তাঁদের রসায়ন আজও ভোলেনি দর্শক। সেই রেবতী পরিচালিত ফির মিলেঙ্গে ছবিতে একজন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীর চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন সলমন। ছবির প্রযোজক শৈলেন্দ্র সিং তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে গিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে কীভাবে সলমন বিনামূল্যে এইচআইভি এইডস নিয়ে সিনেমা করেছিলেন যখন পুরো বলিউড এই ছবিতে কাজ করতে রাজি হয়নি।
‘ভিডিওতে শৈলেন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, সলমন খান সিনেমাটির জন্য ১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন এবং ক্লাইম্যাক্সে তিনি মারা যান। আমাদের গোটা ভারতের, বিশেষ করে যুবকদের জন্য এইডস বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই তিনি এই ছবিটি করেছিলেন, তবে আমি শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিলাম যে সিনেমা সমাজের আয়না এবং প্রতিটি ভারতীয়ের চূড়ান্ত হৃদস্পন্দনও। বলিউডের তরুণ প্রজন্মের আইকন সলমন খান। কিন্তু কল্পনা করুন, সলমন খানকে এইডসের মতো বিষয় একটি সিনেমা করতে রাজি করানো, যেখানে তিনি আসলে র়্যাম্বো, টার্মিনেটর এবং ভারতের সুপারম্যান।
তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, ‘ছবির প্রধান অভিনেতা এইচআইভি আক্রান্ত হন এবং তারপরে ক্লাইম্যাক্সে মারা যান। এটাই প্রধান অভিনেতার প্লটলাইন। গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি না বলেছে। সেদিনই আমি সলমন খানকে ফোন করেছিলাম। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে ক্লাইম্যাক্সে সলমনের মৃত্যু, স্পষ্টতই তাঁর ভক্তরা খুশি ছিলেন না। কিন্তু সেই বার্তা পৌঁছে গেল গোটা দেশে।’
সলমনকে সর্বশেষ মনীশ শর্মা পরিচালিত টাইগার থ্রি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ছবিটি আদিত্য চোপড়ার স্পাই ইউনিভার্সের একটি অংশ, যার মধ্যে রয়েছে ওয়ার ২, আলফা এবং পাঠান। অভিনেতাকে আগামীতে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার অ্যাকশন-থ্রিলার সিকান্দার ছবিতে দেখা যাবে। এছাড়াও পাঠান ও টাইগারের যুগলবন্দিও শীঘ্রই দেখবার সুযোগ পাবে দর্শক।