কিছুদিন আগে গোটা বাংলাকে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন ইমন চক্রবর্তী। তাঁর একটি শোতে এক শ্রোতা বারবার তাঁকে বাংলা গান থামিয়ে হিন্দি গান গাওয়ার আবদার জুড়তেই কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন গায়িকা। জানিয়েছিলেন বাংলায় থাকতে হলে বাংলা গান শুনতে হবে। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন ছোট পর্দার অতি চেনা মুখ দিব্যাণী মণ্ডল ওরফে ফুলকি।
আরও পড়ুন: 'সেটা কখনও ভোলবার নয়', মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে কোন অভিজ্ঞতার কথা মনে করে আবেগঘন হয়ে পড়লেন রূপম?
আরও পড়ুন: 'আমার সন্তানকে বড় করতে অন্যের সন্তানকে ছোট করব না', ফের চাঁচাছোলা দেব! নাম না করে কী বললেন রাজকে নিয়ে?
কী ঘটিয়েছেন দিব্যাণী?
এদিন যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দিব্যাণী মণ্ডল ওরফে ফুলকি কোন একটি শোতে গিয়েছেন। সেখানেই তাঁকে কেউ ভোজপুরি গান গাওয়ার আবদার করেন। সেটা শুনেই অভিনেত্রী বলেন, 'কী বলছ? ভোজপুরি তো হবে না। বিহার নয়। পশ্চিমবঙ্গে এসে বিহারের গান শুনতে চাইছে।' তিনি এদিন তাঁর জনপ্রিয় সংলাপ 'জয় মা কালী'ও বলেন দর্শকদের জন্য। দিব্যাণীর এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
কী লিখেছেন গর্গ?
এদিন দিব্যাণীর এই ভিডিয়ো শেয়ার করে বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে লেখেন, 'একের পর এক বাঙালি শিল্পীরা রুখে দাঁড়াচ্ছে! বাংলার পবিত্র মাটিতে কোন ভোজপুরি চলবে না! জয় মা কালী! বাংলায় রাজত্ব করবে বাঙালি! বাংলা পক্ষ এক চেতনার নাম। অনুষ্ঠান মঞ্চে ভোজপুরি গাইতে অস্বীকার করলেন বাঙালি অভিনেত্রী ফুলকি সিরিয়ালের দিব্যাণী মণ্ডল। কচাকচ বা ললিপপ লাগেল হটাও।'
কে কী বলছেন?
অনেকেই এই পোস্টে দিব্যাণী এবং গর্গকে সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'বহিরাগত হিন্দি-উর্দু গুটখামুক্ত বাংলা চাই এবার। জয় বাংলা।' আরেকজন লেখেন, 'বিহারী বিমারুদের ঘাড় ধরে বের করে দিতে হবে।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'জাতীয়তাবাদ যে বড্ড ছোঁয়াচে দাদা।' কেউ কেউ যদিও বিরোধিতাও করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'কচাকচ বা ললিপপ লাগেলা দুটি অশ্লীল গান । নির্ণয়টা একদম সঠিক। কিন্তু বাংলায় ভোজপুরি চলবে না, এটা বিহার নয় এটা কিন্তু দিব্যাণী এক চরমপন্থীর মতো কথা বললেন। বলতে পারতেন এই গানটি অশ্লীল।'
এর আগে ইমন কী বলেছিলেন?
রাজারহাটের একটি শোতে ইমন চক্রবর্তীকে হিন্দি গান গাইতে বলায় তিনি সাফ বলেন, 'জোরের সঙ্গে বলা যে আমি বাংলা গান শুনব না, এটা অন্য কোন জায়গা হলে চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দিত। বাংলায় থাকছ। বাংলায় রোজগার করছ। বাংলা গান শুনবেনা বলছ? ফালতু জিনিস করবে না। এই রাজ্যের নাম বাংলা। পাঞ্জাবি গান শোনো, মারাঠি গান শোনো, ইংরেজি গান শোনো বাড়িতে। কিন্তু তোমার সাহস হল কী করে আমায় বাংলা গান গাইতে না বলতে? সাহস কে দিল? এই ভন্ডামিগুলো করো না। সাহস থাকলে স্টেজে এসো। বাংলায় থাকছ, বাংলায় চাকরি করছ, বাংলায় রোজগার করছ এদিকে বাংলা গান শুনবে না বলছ!'