বছর দুয়েকের মধ্যেই জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল দিয়ে পরিচয়ে আসা নন্দিনীর। বর্তমানে যদিও ডালহৌসির পাশাপাশি, আরও দু-তিনটে হোটেলের মালিক তিনি। নিউটাউন চত্বরে খুলে ফেলেছেন নন্দিনীদি'র হেঁশেল।
এবার নন্দিনীর দোকানের নতুন চমক হল স্পেশাল থালি। কম দামে সুস্বাদু খাবার দেওয়ায় নাম আছে তাঁর। একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হল নন্দিনীর তরফে। দেখা গেল মাটির থালায় সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে খাবার।
আরও পড়ুন: চরিত্র নিয়ে ট্রোল, কড়া জবাব এল ইমনের থেকে, ‘…তোমার মত ভদ্র কিম্বা অসভ্য’
চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী রয়েছে থালিতে। ভাত আর পোলাও, দুটোই পাওয়া যাবে। সঙ্গে বেগুনি, আলু ভাজা, আলু ভর্তা, ডাল, তরকারি আর আলুর দম। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল আনলিমিটেড ভাত বা পোলাও নিতে পারবেন গ্রাহকরা। নিরামিষ থালিটির দাম পড়বে ১০০ টাকা। আর কেউ যদি এর সঙ্গে চিকেন বা মটন নিতে চান তাহলে দাম পড়বে যথাক্রমে ২০০ ও ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের পার্থক্য ২৪ বছর, সন্তানদের জন্য ‘নতুন বাবা’ খুঁজছেন সুদীপ-পত্নী পৃথা
করোনা লকডাউনের আগেই কলকাতায় এসে বাবার হোটেলের দুনিয়ায় হাত লাগান নন্দিনী। এর আগে কাজ করতেন একটি হোটেলে। নন্দিনী নিজেই জানিয়েছেন, বাবার স্বপ্নপূরণ করতে চেয়েছিলেন। তাই হোটোলের ব্যবসাকে দাঁড় করাতে ছেড়েছিলেন নিশ্চিত মাস মাইনের চাকরি।
আরও পড়ুন: কালো স্পার্কলিং গাউন গায়ে, বিবাহ বার্ষীকিতেও দেদার খরচ মিষ্টি-রেমোর! কী দিলেন উপহার
ডালহৌসির পাশাপাশি আরও দুটো দোকান চালাচ্ছেন নন্দিনী। একটি আকাঙ্খা মোড়ে ও আরেকটি ডিএলফ ২-তে। আকাঙ্খা মোড়ের দোকানে রেখেছেন আনলিমিটেড বিরিয়ানির ব্যবস্থাও।সব মিলিয়ে ব্যবসা একেবারে জমজমাট ‘স্মার্ট দিদি’র।
ইতিমধ্যে জোশ টকস থেকেও ডাক এসেছে নন্দিনীর কাছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যখন লকডাউন, তখন আমি ছিলাম গুজরাটে। শেফের কাজ করছিলাম। বাবা হঠাৎ ফোন করে বলল, তোমার মা ভীষণ অসুস্থ। আমি ফিরে এলাম কলকাতায়। এসে শুরু করলাম এই পাইস হোটেলে কাজ করা। আমার বাবা এটা শুরু করেছিল লকডাউনের ঠিক আগে। বাবার আগের ব্যবসাটা নষ্ট হয়ে যায় নোটবন্দির সময়। যে মেয়েটা দুই মেয়েকে ইঞ্জিনিয়র বানিয়েছে, আমাকে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়িয়েছে, সেই বাবা রুটির দোকানেও কাজ করেছে টাকার জন্য। তারপর একজনের থেকে ভাড় নিয়ে শুরু করে পাইস হোটেল।’