ডালহৌসির ভাতের হোটেল চালিয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিলেন নন্দিনী। করোনা লকডাউনের সময় নন্দিনীর হোটেলের ভিউ পৌঁছত লাখে। আর নন্দিনীর হাতের খাবার চেখে দেখতেও, পড়ত লম্বা লাইন। তবে কদিন আগে সেই নন্দিনীর একটি ভিডিয়োই ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় ডালহৌসির ফুটপাথের ধারের হোটেলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা বেশ কষ্ট দিয়েছিল তাঁর অনুরাগীদের। এরই মাঝে নতুন রূপে দেখা গেল নন্দিনীকে। এক বান্ধবীর জন্মদিনে মাতালেন ডান্স ফ্লোর।
জিন্স-টপ পরা, গলায় ব্লু টুথ হেডফোন, নন্দিনীকে ভাতের হোটেলে দেখে একাংশ জনতা সেই সময় স্মার্ট দিদি নাম দিয়ে দেয়। এমনকী, নন্দিনীর দোকানের বাইরে জড়ো হত রোজ সেই সময় একাধিক ইউটিউবার। নন্দিনীর খ্যাতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, তিনি ইতিমধ্যেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছেন। একটি সিনেমাতেও অভিনয় করে ফেলেছেন, যাতে রয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। হামেশাই তাংকে পাওয়া যায় ব্যান্ড প্রোমোশন করতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
তবে নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়ো দেখে বোঝা দায়, এই হল রোজ ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী। কালো ওয়েস্টার্ন পোশাক, হাতে পানীয়, রীতিমতো ঝড় তুললেন ডান্স ফ্লোরে। দেখুন সেই ভিডিয়োখানা-
কদিন আগে ইউটিউবের মাধ্যমেই মিলেছিল নন্দিনীর ডালহৌসির ভাতের হোটেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর। যা খুলেছিল তাঁর বাবা লকডাউনের কিছু আগে। নন্দিনী আগেই জানিয়েছিলেন, সেটি ভাড়ায় নেওয়া। এবার যার থেকে ভাড়ায় নিয়েছিলেন তাঁর বাবা, সেই ব্যক্তইি একপ্রকার জোর করে তুলে দিয়েছে বলে দাবি করেন নন্দিনী।
যদিও চলতি বছরেই নিউটাউন এলাকায় নন্দিনী দি'র হেঁশেল নামে একটি হোটেল খুলেছিলেন। এখানে ভাত থেকে বিরিয়ানি, সব রকমেরই খাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকেই ব্যবসা চালাচ্ছেন বাবাকে নিয়ে। নন্দিনী জানিয়েছিলেন, এরপর দক্ষিণ কলকাতায় দোকান খোলার ইচ্ছে তাঁর রয়েছে। তাঁর জন্য উপযুক্ত জায়গাও খুঁজছেন।
দিদি নম্বর ১-এ এসে নন্দিনী জানিয়েছিলেন, তিনি একটি হোটেলে কাজ করতেন। সেই সময় একদিন বাবার কাছ থেকে জানতে পারেন, মা অসুস্থ। আর তাঁর বাবা একা হাতে ডালহৌসির হোটেলটি চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্যস আর কী, চাকরি ছেড়ে বাবার স্বপ্নপূরণে কলকাতায় চলে আসেন। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করা নন্দিনী এরপর ফুটপাথেই শুরু করেন লড়াই। তবে সহায় ছিল ভাগ্য। তাই তো লকডাউন পরবর্তী সময়, এক ইউটিউব ভিডিয়ো তাঁকে রাতারাতি ভাইরাল করে দেয়। দোকানে বাড়তে থাকে ভিড়। নন্দিনী নিজেই বলেছিলেন, একসময় দিনে যেখানে ১৫-২০জন খদ্দের হত না দোকানে, ভাইরাল হওয়ার পর সেখানে ১০০-২০০ জন আসতে প্রতিদিন তাঁদের ফুটপাথের দোকানে ডালহৌসিতে।