ইন্ডিয়ান আইডল ১৫-র বিচারক হিসেবে দেখা যাচ্ছে শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল দাদলানি ও বাদশা। এই সিজনে সঞ্চালক হিসেবে ফিরেছেন আদিত্য নারায়ণ। প্রথম থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে গানের এই রিয়েলিটি শো। প্রতিযোগীদের সঙ্গে বিচারকরাও মাতিয়ে রেখেছেন। তবে এবার বেশ মজার একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আইডলের সেটে বাদশার উপর মলত্যাগ
ক্লিপটির শুরুতে দেখা যায়, কিছু একটা বলর জন্য মুখ খুলছেন বাদশা। সেইসময় উপর থেকে তাঁর গায়ে কিছু এসে পড়ে। সেদিকে তাকান, তরপর নিজের জামার দিকে। আর হাসতে হাসতেই বলতে শুরু করেন, ‘এটা তো আলটিমেট হয়ে গেল’।
আরও পড়ুন: গালে গাল ঠেকিয়ে সেলফি! অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্স চর্চার মাঝে কার বাহুলগ্না হলেন ঐশ্বর্য
এবার দেখা যায় শ্রেয়াও ঘুরে তাকান। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘কী ব্যাপার?’ তারপর গোটা ব্যাপারটা বুঝে একেবারে ফেটে পড়েন হাসিতে। বিশালকে গোটা ঘটনা জানান শ্রেয়া, তারও একই অবস্থা।
বাদশা এরপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার মুখটা রক্ষা পেল। এটাই গুডলাক’। শ্রেয়া বলেন, ‘এ মা! বেশিই পড়ে গেছে’।
এখনও ভাবছেন নিশ্চয়ই কে মলত্যাগ করে বাদশার গায়ে? এটি একটা ছোট্ট পায়রা। যে সেটে কোনোভাবে ঢুকে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। এরপর ভিডিয়োতে দেখা যায়, স্টেজে থাকা আদিত্য পায়রা তাড়াতে ব্যস্ত। তিনি মজা করে বলেন, ‘আরে বাদশা ভাই কবুতর ভাগ রাহা হুঁ’।
আরও পড়ুন: নিজে এক পুত্রের মা, শাশুড়িদের ‘বিপাশা’ স্নেহার পরামর্শ, ‘ছেলের বউর মা হবেন না…’
ইন্টারনেটের প্রতিক্রিয়া
এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, ‘পায়রাটি সেটে কীভাবে এল?’ আরেকজন লিখলেন, ‘এই পায়রাটি আসলে হানি সিং পুষেছে’। আরেকজন লিখলেন, ‘শ্রেয়ার হাসি। খুব মজা পেয়েছে বেচারি’। চতুর্থজন লিখলেন, ‘হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা’। ইন্ডিয়ান আইডল ১৫ সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে রাত ৯ টায় সম্প্রচারিত হয়। শোয়ের প্রথম মরসুমটি এসেছিল ২০০৪ সালে।
বাদশা, হানি সিংয়ের দ্বন্দ্ব
বাদশা ও হানি সিংয়ের মধ্যে ১৫ বছর ধরে ঝগড়া চলে আসছে। গত বছর মনে হয়েছিল যে এই জুটি তাদের সমস্যাগুলি সমাধান করেছে। তবে হানি সিং সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন এবং ফের বাদশার র ্যাপিং দক্ষতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। হানি সিং একটি প্রোমো ভিডিয়ো শেয়ার করে নেন, যেখানে বাদশা তাঁর ফ্রিস্টাইল র ্যাপিং দক্ষতা দেখাচ্ছিলেন।
বাদশা বলেন, ‘দিল্লি কা গোলগাপ্পা, মুম্বই সে ভেলপুরি, চণ্ডীগড় কি লস্যি কো গড্ড গড্ড পি জাতে হ্যায়।’ এটি শেয়ার করে হানি সিং লিখেছিলেন, ‘অ্যায়সে লিরিক্স লিখওয়ানে হ্যায়, বাস তকদির বন যায়েগি মেরি (এই জাতীয় গানের কথাই আমার ভাগ্য তৈরি করবে)।’ টেক্সটের সঙ্গে একটি হাসির ইমোজিও জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।