কথায় আছে একজন সফল মহিলার কৃতিত্বে পিছনে একজন পুরুষের অনেকখানি অবদান থাকে। আবার এর উল্টোটাও অনেকে দাবি করেন যে, একজন সফল পুরুষের সাফল্যে একজন মহিলার অবদান অপরিসীম। কিন্তু এই ধারনায় বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়। নিজের ইস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে সে কথাই লিখলেন অভিনেত্রী।
স্বামী কাঞ্চনের সঙ্গে হয়েছে ডিভোর্স। কাঞ্চন নতুন করে ঘর বেঁধেছে শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে। বর্তমানে তাঁদের একটি কন্যা-সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে, ছেলেকে একা হাতে মানুষও করছেন পিঙ্কি। পাশাপাশি ইন্ড্রাস্টিতে দাপটের সঙ্গে কাজও করছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর ইস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। ভিডিয়োটিতে ইংরেজিতে কিছু কথা লেখেন তিনি। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি মানুষের সাফল্যে অবদান রাখে এই সিঙ্গেল শট।’ এখানে শট বলতে এসপ্রেসো শটেরই হয়তো উল্লেখ করেছেন পিঙ্কি, কারণ ফোটোগুলি তোলা কোনো কফি শপে।
তাঁর এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা নানা মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। একজন লেখেন, ‘খুব ভালো।’ আর একজন অভিনেত্রীর সাজের প্রশংসা করে বলেন, ‘অসাধারণ লাগছে।’ আসলে ভিডিয়োটি অভিনেত্রীর কিছু ছবির কোলাজ। সেখানে তাঁকে কালো রঙের পোশাক দেখা গিয়েছে। নাকে সেপ্টাম, চোখে রোদচশমা ও মাথা পট্টিতে একদম অন্যরকম দেখাচ্ছিল অভিনেত্রীকে। একটি ক্যাফেতে গিয়ে তিনি ছবিগুলি তোলেন।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চন ও পিঙ্কির দাম্পত্য় কলহের খবর সামনে এসেছিল ২০২১ সালে। স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগ আনেন পিঙ্কি, যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শ্রীময়ী। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছোড়ি কম হয়নি সেই সময়। তখন অবশ্য কাঞ্চন দাবি করেছিলেন যে ৯ বছরের দাম্পত্যে মাত্র ২০ দিন একসঙ্গে থেকেছেন তাঁরা। প্রাক্তন দম্পতির এক পুত্র সন্তানও রয়েছে, তাঁর নাম ওশ। ওশের এখন ১০ বছর।
আরও পড়ুন: মনস্তাত্ত্বিক ছবিতে প্রিয়ঙ্কা ও ঋষি কৌশিক, কেমন হবে রোহন সেনের নতুন ছবি কন্যা?
১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভোর্স দেন কাঞ্চন মল্লিককে। পিঙ্কি নিজের মুখে জানিয়েছিলেন, ডিভোর্সের সময় খোরপোষ বাবদ কাঞ্চন নাকি ৫৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তাঁকে, যদিও সেই অর্থের গোটাটাই ছেলের জন্য। সেই টাকা থেকে এক পয়সাও নিজের জন্য খরচ করবেন না পিঙ্কি। তারপর গত বছর কাঞ্চন ১৪ ফেব্রুয়ারি 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'তে আইনি বিয়ে সারেন শ্রীময়ীর সঙ্গে। এরপর ২ মার্চ করলেন সোশ্যাল ম্যারেজ করেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।