দেখতে দেখতে ৬ মাস পার! ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে লন্ডভন্ড কলকাতা। বৃষ্টিভজা রাতেই বিয়ের ৬ মাসের উদযাপন করলেন পিয়া চক্রবর্তী ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গত ২৭শে নভেম্বর সই-সাবুদ করে একদম চুপিসাড়ে বিয়ে সেরছিলেন তাঁরা। আরও পড়ুন-পরমব্রতকে বিয়ের ৫ মাস! ঝলক বেডরুমের, বিছানায় শুয়ে পিয়া, আদর খেলেন মন ভরে
অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু পরমব্রতর বিয়ে, এই নিয়ে সমালোচনা-কটাক্ষ হবেই তা অজানা ছিল না। তবে বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পরমব্রতর হাত ধরেন পিয়া। সোমবার রাত একটু গভীর হতেই সকলে পিয়া মনিয়ে করিয়ে দিলেন তাঁদের সেই বহুবিতর্কিত বিয়ের দিনের কথা। অগ্রহায়ণের দুপুরে নিভৃতে আজীবন পিয়াকে আগলে রাখার ব্রত নিয়েছিলেন পরম। দুপুরে রেজিস্ট্রি বিয়ে, রাতে ছিল ঘরোয়া রিসেপশন।
সেই বিয়ের একগুচ্ছ অদেখা মুহূর্ত এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন পিয়া। ক্যাপশনে লেখা, ‘এমনি এমনি কেটে গেল ৬ মাস আগের স্মৃতি ফিরে দেখা…’।পিয়ার শেয়ার করা ছবিতে ভালোবাসার বন্যা। অভিনেত্রী সোহিনী সরকার লাল হৃদয়ের ইমোজি আঁকেন।
রেজিস্ট্রি বিয়ের আসরে কী কী হাঙ্গামা হয়েছে সেই ঝলকও উঠে এল পিয়ার ফেসবুকের টাইমলাইনে। নিজেদের দুই পোষ্য, সারমেয় নীনা এবং খুদে বেড়লছানা, বাঘাকে নিয়েই ভরপুর সংসার পরমব্রত-পিয়ার।

৪২ বছর বয়সী তারকা ঘর বাঁধেন অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী, পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। সেই বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। ‘বউ চোর’ কটাক্ষও পেতে হয়েছে পরমব্রতকে। অনুপমের তৃতীয় বিয়ের পর সেই বিতর্কের রেশ খানিক কমেছে। নিজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চান না পরমব্রত।
তবে বিয়ের পর তাঁর জীবনে কী কী বদল এসেছে, সে কথা মন খুলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে গিয়ে। অভিনেতার মতে,‘আমি তো একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেছি। এতদিন তো আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি তো পুরোটাই স্বাবলম্বী, নিজের জিনিস নিজেই গুছিয়ে রাখি। গতকাল থেকে আমার এয়ারপড খুঁজে পাচ্ছিলাম। ….. আজ বউ আমাকে বলল ওগুলো তো তাঁর ব্যাগে। পিয়া বলল, ‘কাল আমাকে তুমি রাখতে দিয়েছিলে’। তখন বুঝলাম এটা আমার রিফ্লেক্সেই কাজ করছে না, যে আমার সঙ্গে কেউ আছে যাকে কিছু রাখতে দেওয়া যায়। এটা আস্তে আস্তে বসছে’।
অনুপম-পিয়ার ডিভোর্সের দায় নিজের কাঁধে নিতে না-রাজ পরম। তিনি জানান, ‘কিছুদিনের বন্ধু ছিলাম। ধীরে ধীরে একে অপরের জীবনসঙ্গী হয়েছি। এত বয়সে বিয়ে করার পর আশা করি আর এদিক ওদিক হবে না সমস্যা খুব একটা’।