গত বছর এই দিনে চার হাত এক হয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর পিয়া চক্রবর্তীর। তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জন থাকলেও, দুজনে যে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, তা ভেবে উঠতে পারনি কেউই। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের কাছেও সারপ্রাইজ ছিল দুজনের শুভ পরিণয়। খুব ঘরোয়াভাবে আইনি কাগজে সই করেই বিয়েটা করেন তাঁরা। তবে তা নিয়ে শুরু হয় কটাক্ষ। বিশেষ করে আক্রমণর মুখে পড়েন পিয়া, কারণ তিনি আগে ছিলেন অনুপমের স্ত্রী। গায়ককে ছেড়ে, একসময় তারই কাছের বন্ধু পরমব্রতকে বিয়ে করায় সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় নানা ধরনের কুরুচিকর আক্রমণ।
কিন্তু সেসব এখন অতীত। কারণ দেখতে দেখতে বিয়ের ১টা বছর। প্রথম বিবাহবার্ষীকি পালন করছেন পরমব্রত-পিয়া, আর এই বিশেষ দিনে ভালোবাসার মানুষটার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা স্পেশাল বার্তা না দিলে হয় নাকি!
আরও পড়ুন: শুধু ননদ নয়, ঐশ্বর্যর ‘বনিবনা’ নেই দাদার বউয়ের সঙ্গেও, বউদি নামী ইনফ্লুয়েন্সার
পিয়া তাঁর আর পরমব্রতর একসঙ্গে গান গাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখলেন, ‘আমরা একসঙ্গে রোদ, ঝড়, বৃষ্টি পার করে যাব। দেখতে দেখতে একটা বছর। আরও অসংখ্য বছর একসঙ্গে কাটানোর অপেক্ষায়। কারণ আমাদেরকে একসঙ্গে দেখতে খুব মিষ্টি লাগে… ভালোবাসি তোমায় তাই জানাই গানে গানে। হ্যাপি অ্যানিভার্সারি।’
আরও পড়ুন: মদ্যপ গাড়ির চালক, নামী পরিচালকের ১৮ বছরের ছেলের মৃত্যু হল পথ দুর্ঘটনায়
সন্তান নিয়ে বিতর্কে জড়ান পিয়া:
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে গুঞ্জন ছড়ানো কোনো নতুন ব্যাপার নয়। এই যেমন অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রীর উপর দায় চেপেছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ের পর নিজের সন্তানদের অবহেলা করার। অবাক করা ব্যাপার ছিল, মোটেও কোনো সন্তানের মা নন পিয়া। কারণ তিনি আর অনুপম রায় সন্তন নেননি। কার্যত বিব্রত হয়ে জবাব দিয়েছিলেন সমাজকর্মী-গায়িকা সেইসময়।
আরও পড়ুন: ‘মেয়ের বয়সী’ শ্রীময়ীকে বিয়ে করে কটাক্ষে, বাবা-কাঞ্চনকে কত নম্বর দিল কৃষভির মা
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘জনস্বার্থে প্রচার করছি, বাধ্য হয়ে। পিয়া চক্রবর্তীর, মানে আমার, কোনো সন্তান নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। দুটিও নয়, একটিও নয়। দয়া করে Fake news factoryর দ্বারা মুরগি হবেন না। আচ্ছা নমস্কার। জনতার মঙ্গল হোক।’
সেই সময় আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী নন্দিনী পিয়ার এই পোস্টে মস্করা করে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি তো তোমার সন্তানদের ছবিও দেখলাম কিছু জায়গায়। যদিও তাদের আসল মা-বাবাকে সটাও জানি। যাক গে…’