‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর পর তিন বছরের অপেক্ষা শেষে পর্দায় ফিরেছেন সোনাদা, দর্শকও তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত আবির চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত পুজোর বক্স অফিসে একমাত্র হিট বাংলা ছবি ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’। মুক্তির প্রথম তিনদিনেই কমবেশি ২ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। দেব-প্রসেনজিৎ'এর মতো সুপারস্টারকে মাত দিয়েছেন সোনাদা। সেই নিয়ে টলিপাড়ায় চর্চার শেষ নেই। ভক্তদের ভালোবাসায় আপ্লুত আবির, তবে অনুরাগীদের কাছে একটা বিশেষ আবদারও রই সোনাদার তরফে।
পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবি সাসপেন্স-থ্রিলার জঁর। বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যর সঙ্গে কল্পকাহিনির এক অদ্ভূত মিশেল পরিচালকের এই ফ্র্যাঞ্চইসি। এইবারও নিরাশ করেননি পরিচালক, কিন্তু ছবি দেখে গল্পের মূল টুইস্ট অনেকেই সোশ্যালে ফাঁস করে দিচ্ছেন! কেউ কেউ আবার হলে ছবি দেখবার সময় প্রধান প্রধান দৃশ্যের ভিডিয়ো করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, আর এতেই আপত্তি আবিরের। টুইট বার্তায় ফ্যানেদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘সবদিক থেকে কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধনের জন্য এত্তো দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া পেয়ে অভিভূত। কিন্তু একটা অনুরোধ রয়েছে, দয়া করে হলে ছবি দেখবার সময় কোনওরকম ভিডিয়ো তোলা থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের উত্তেজনাটাই আমাদের সেরা প্রাপ্তি, কিন্তু দয়া করে ছবির রহস্য ফাঁস করবেন না’।
চলতি বছর দুর্গাপুজোয় বাঙালি দর্শকদের ‘কাছের মানুষ’ কিন্তু সোনাদা। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে প্রথম তিনদিনে এক লক্ষ দশ হাজার দর্শক টিকিট কেটে এই ছবি দেখেছেন। সহজ হিসাব বলছে প্রথম তিনদিনে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’-এর আয় কমবেশি ২ কোটির কাছাকাছি।
সোনাদার (সুবর্ণ সেন) চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায়কে শুরু থেকেই আপন করে নিয়েছে দর্শক। ‘ব্যোমকেশ’ বা ‘ফেলুদা’র মতো গোয়েন্দা হিসাবে আবিরকে দেখেছে অনুরাগীরা, কিন্তু সোনাদা সবার চেয়ে আলাদা। আবিরের পাশে অর্জুন এবং ইশাও ভীষণ মানানসই। তিনজনের রসায়ন আর ছবির চিত্রনাট্য-এটাই ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’-এর মূল ইউএসপি। আবির,ইশা,অর্জুনের পাশাপাশি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সৌরভ দাস।