বুধবার মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই চলে গেলেন অভিনেতা ইরফান খান। কোলনে ইনফেকশন নিয়ে গতকাল কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি অভিনেতা ইরফান খান। ক্যানসারকে জয় করা এই অভিনেতা আবারও ফিরে আসবেন, বিশ্বাস ছিল সকলের। কিন্তু না- এইবার আর ফিরলেন না ইরফান। হেরে গেলেন জীবন যুদ্ধে। ইরফানের এই প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা দেশে। ইরফানের মৃত্যু ভারতীয় তথা বিশ্ব চলচ্চিত্রের এক অপূরণীয় ক্ষতি এমনটাই জানালেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন টুইট বার্তায় মোদী জানান, 'ইরফান খানের প্রয়াণ বিশ্ব সিনেমা এবং থিয়েটারে বিশাল বড় ক্ষতি। তাঁকে সকলে আজীবন মনে রাখবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর ভার্সাট্যাইল অভিনয়ের জন্য। আমার সমবেদনা রইল তাঁর পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীদের প্রতি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি'।
পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত অভিনেতার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। টুইট বার্তায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, 'শোকাহত এমন একজন গুণী অভিনেতার অকাল প্রয়াণের খবর পেয়ে। অসামন্য প্রতিভাধর, শক্তিশালী এক অভিনেতা, নিজ অভিনয় দক্ষতায় প্রতিটি চরিত্রকে তিনি জীবন্ত করে তুলতেন যা স্মৃতি রয়ে যাবে আজীবন। বিশ্ব সিনেমার একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল, বিরাট শূন্যতা তৈরি হল সিনেমাপ্রেমীদের মনে। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি রইল সমবেদনা।
ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, 'খুবই খারাপ লাগছে এমন একজন প্রতিভাবান অভিনেতা ইরফান খানের চলে যাওয়ার খবর শুনে। তবে তিনি যে কাজ করে গিয়েছেন তাঁর মধ্যে দিয়েই তিনি বেঁচে থাকবেন, অনুপ্রাণিত করবেন আগামী প্রজন্মকেও। আমার মনে পড়ছে কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসে আমাকে তাঁর ফোন করার কথা। তাঁর পরিবার, সহকর্মী, অনুরাগী এবং প্রশংসকদের প্রতি আমার সমবেদনা'।