অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টকে আশীর্বাদ করতে হাজির খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপাতত সেটাই এখন নেটপাড়ার চর্চার বিষয়। বিয়েতে তিনি আসেননি। তবে শুভ আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নব-দম্পতিকে আশীর্বাদ করতে ভুললেন না মোদী। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেটপাড়ার নজর কেড়েছে।
নেটপাড়ায় ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে দেখা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নবদম্পতি হাঁটু গেড়ে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কৃতজ্ঞতায় হাতজোড়ও করেন তাঁরা। এছাড়াও এই দম্পতিকে উপহার দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কৃতজ্ঞতার কারণে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেব নীতা আম্বানি ও মুকেশ আম্বানি।
এরপর নীতা ও মুকেশ আম্বানি প্রধানমন্ত্রীকে বসবার আসনের দিকে নিয়ে যাবেন, ঠিক তখন সেদিকে না গিয়ে অপর দিকে চলে গেলেন মোদী। কারণ বিপরীত প্রান্তে তখন দাঁড়িয়েছিলেন রাধিকা মার্চেন্টের বাবা-মা বীরেন মার্চেন্ট ও শীলা মার্চেন্ট। মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে গিয়েও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কন্যা পক্ষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যবহারেই মুগ্ধ নেটপাড়া।
এই ভিডিয়ো দেখে নেটপাড়ার একজন লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পাত্রপক্ষ-কন্যাপক্ষের মধ্যে বৈষম্য করেননি। এটা প্রশংসনীয়।’ কারোর কথায়, ‘এতকিছুর মধ্যেও রাধিকার বাবা-মা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি। নরেন্দ্র মোদী কিন্তু রাধিকার বাবা-মাকে এড়িয়ে যাননি।’ কারোর মন্তব্য, ‘উনি সত্যিই মহান।’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিন উপহার হিসাবে রুপোর থালায় সাজিয়ে ঈশ্বরের ছবি নবদম্পতিকে উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। ঠাকুরের সেই ছবি মাথায় ঠেকিয়ে আর্শীবাদ গ্রহণ করেন নব-দম্পতি অনন্ত-রাধিকা। আশীর্বাদ পর্ব মেটার পর মঞ্চ থেকে নেমে ধর্মগুরুদের দিকে হেঁটে যান প্রধানমন্ত্রী। শঙ্করাচার্যের পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নেন নরেন্দ্র মোদী। পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য ধর্মগুরুদের থেকে আর্শীবাদ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে
১২ জুলাই মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে তারকাখচিত অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বাঁধেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। জাঁকজমকপূর্ণ এই বিবাহে পাশ্চাত্য রীতিনীতির সঙ্গে গুজরাটি রীতিনীতিরও সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিল। পবিত্র আগুনের চারপাশে ৭ পাক ঘুরে বিয়ের শপথ পাঠ করেন অনন্ত রাধিকা। এরপর মালাবদলও হয়।
আম্বানিদের এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও টনি ব্লেয়ার, মার্কিন শিল্পপতি পিটার ডায়াম্যান্ডিস, শিল্পী জেফ কুনস, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন কেরি ও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিম কার্দাশিয়ান, খোলো কার্দাশিয়ান, জন সিনা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-জোনাস, নিক জোনাসসহ বলিউডের অনেক তারকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারও।
জামনগর এবং ইউরোপে কয়েক মাস ধরে প্রাক-বিবাহ উৎসব চলার পর ১২ জুলাই সম্পন্ন হয় অনন্ত রাধিকার জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে। কোটিপতি ব্যবসায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র হলেন অনন্ত। রাধিকা হলেন ব্যবসায়ী বীরেন মার্চেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী শায়লার মেয়ে।