বৃহস্পতিবার ফের ইন্দ্রপতন বলিউডে। চলে গেলেন বর্ষীয়ান বাঙালি পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে রজনীগন্ধা, বাতো বাতো মে, এক রুকা হুয়া ফাসলা, চিতচোরের মতো কালজয়ী ছবির পরিচালক। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই বাঙালি পরিচালকের,বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
জাতীয় পুরস্কার জয়ী এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটারে লেখেন, শ্রী বাসু চ্যাটার্জির মৃত্যুর খবরে শোকাহত। ওঁনার কাজ অসাধারণ এবং সংবেদনশীল। সেগুলো মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে,কারণ জীবনের সাধারণ এবং একসঙ্গে জটিল অনুভূতি গুলো উনি খুব সারল্যের সঙ্গে তুলে ধরতেন। মানুষের লড়াইও তাঁর কাহিনির অন্যতম উপজীব্য। উনার পরিবার ও অগুনতি ভক্তদের প্রতি রইল সমবেদনা।ওম শান্তি।
বাসু চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কিংবদন্তি পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার বাসু চ্যাটার্জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। উনি আমাদের ছোটি সি বাত, চিত্চোর, রজনীগন্ধা, ব্যোমকেশ বক্সী, রজনীর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন। পরিবার,বন্ধু, অনুরাগী এবং চলচ্চিত্র জগতের প্রতি রইল আমার গভীর সমবেদনা'।
১৯৬৯ সালে সারা আকাশ ছবির সঙ্গে রুপোলি সফর শুরু করেন এই বাঙালি পরিচালক। হিন্দি ছবির সঙ্গেই হাতেখড়ি তাঁর। এরপর প্রায় চার দশক দীর্ঘ কেরিয়ারে অসংখ্য অজস্র হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর শেষ হিন্দি ছবি ২০০৭ সালে কাজল অভিনীত কুছ খট্টা, কুছ মিঠা। তবে আরও কয়েক বছর বাংলা ছবি পরিচালনার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ত্রিশঙ্কু। বাংলায় তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ হঠাত্ বৃষ্টি, হচ্ছেটা কী, হঠাত্ সেইদিন-এর মতো ছবি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া চলচ্চিত্র জগতে।