'একপ্লেটে তিনটে পরোটা, আনলিমিটেড তরকারি আর একটা আপেল পিঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা আর সিদ্ধডিম দিয়ে মাত্র ৩০ টাকা….', সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি পরিচিত, অতি চেনা সংলাপ এটি। পরোটা বিক্রি করেও যে ভাইরাল হওয়া যায়, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ গুমার রাজুদা। রাজুদার তেলছাড়া পরোটা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে আগে টিভির পর্দায় মুখ দেখিয়েছেন রাজুদা। হ্যাঁ, সান বাংলার লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভে আগেই দেখা মিলেছে রাজু ঘোষের। আর এবার একেনবাবুর সঙ্গী তিনি!
দিন কয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল, হইচইয়ের আসন্ন ওয়েবসিরিজে নাকি দেখা যাবে তাঁকে। কেউ কেউ আবার দাবি করেছিলেন, প্রচার কাজে সাহায্য করবেন রাজুদা। সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২৩শে জানুয়ারি হইচই-তে আসছে একেনবাবু। আর সেই সিরিজের প্রচারেই এবার অনির্বাণের পাশে রাজুদা।
দর্শকদের অন্দরমহলে কীভাবে পৌঁছতে হয় সেই কৌশল বরাবরই জানে টিম হইচই। নতুন বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত কোলাব নিয়ে হাজির তাঁরা! শুক্রবার সন্ধ্যায় সামনে এল পুরোপুরি একেনের প্রচারমূলক ভিডিয়ো। যেখানে রাজুদা হাজির হয়েছেন তাঁর পকেট পরোটার পসার সাজিয়ে।
ভিডিয়োয় দেখা গেল, কলকাতায় কচুরির দোকান খুঁজে না পেয়ে বেশ হতাশ একেন বাবু।অন্যদিকে রাজুদার দোকানের সামনে কাস্টমারদের উপচে পড়া ভিড়। এরপর ফোনে রাজুদার পরোটা চেখে দেখার সাজেশন পান একেনবাবু। চোখের পলকেই সেখানে হাজির একেনবাবু। চিনতে ভুল করেননি রাজুদাও। তবে রাজুদার নতুন নামকরণ করলেন একেনবাবু- 'পকেটদার রাজু পরোটা।'
দুজনের কথোপথনের মজাদার মুহূর্ত তাড়িয়ে উপভোগ করল দর্শক। রাজুদার প্রশ্ন, 'পুরীতে গিয়ে স্নান করেছেন?' আর একেনবাবুর রসালো জবাব, 'জলে আমার ফাঁড়া আছে।' একেনবাবু পালটা রাজুদার কাছে জানতে চান, সমুদ্রের পাড়ের কোন জিনিসটা ইন্টারন্যাশন্যাল? মাথা চুলকেও জবাব দিতে পারেননি রাজুদা। একেনবাবু বলেন, ‘বালি’।
প্রোমোর শেষে একেন বাবুর মজাদার কবিতা, 'সমুদ্রের জল কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারে তে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস,' শুনে রাজুদা বলে বসেন, 'এটা নদী হবে না?' ওদিকে রাজুদার দোকানে দাঁড়িয়ে যখন পরোটার স্বাদ চেটেপুটে নিতে ব্যস্ত একেনবাবু, ফোন চলে আসে স্ত্রী খুকুর। তাঁকে মিথ্যে আশ্বাস দিতে বলেন, বাড়ি গিয়ে বউয়ের রান্না খাবেন তিনি। একেনবাবু সেই স্থান ছাড়তেই খুকু বৌদিকে ফোন করে সবটা জানিয়ে দেয় রাজুদা।
এই কোলাবরেশন দেখে দ্বিধাবিভক্ত নেটপাড়া। অনেকেই পছন্দ করেছেন একেনবাবু অনির্বাণের সঙ্গে রাজুদার রসায়ন। কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। একজন লেখেন, ‘এদের রুচি কোথায় এসে দাঁড়য়েছে’। আরেকজন লেখেন, ‘একেন বাবু নামটাই যথেষ্ট, এর জন্য এই রকম ধরনের প্রমোশন কোন প্রয়োজন ছিল না’। আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘ভিউজের লোভে আর কত নীচে নামবে এরা?’
তবে নিন্দকরা যাই বলুক না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ার জোরে সবার প্রিয় রাজুদা এখন হইচই-এর অংশ! যা দেখে খুশি রাজুদার অনুরাগীরা।