বাংলা সাহিত্যের জন্য দুঃসময়। চলে গেলেন আরও একজন কবি। এই সময়কার অন্যতম জনপ্রিয় কবি সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় গত শনিবার, ২১ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কবি। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন চিকিৎসকদের চেষ্টা বিফল করে পরলোক গমন করেন তিনি। টলিউড থেকে বাংলা পাঠক জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই প্রাণ খোলা, হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, 'শীতকাল এসে গিয়েছে সুপর্ণা, আমি মাসের পর মাস ঘুমিয়ে থাকব।' সেটা যে এত তাড়াতাড়ি বাস্তব হবে কেই বা আশা করেছিল! চারদিন আগে তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। সেদিন বহু তারকারা তাঁর অসুস্থতার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। শ্রীজাত থেকে সৃজিত সহ অনেকেই তাঁকে নিয়ে পোস্ট দেন। কিন্তু সকলেই আশা করেছিলেন যে তিনি হয়তো সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু বাস্তবে যে বিধাতা অন্য কিছু লিখে রেখেছেন সেটা বোধহয় কেউ আশা করেননি।
শনিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাঁর চলে যাওয়ার কথা। এরপরই একে একে শ্রীলেখা মিত্র থেকে সুজয় প্রসাদ, শ্রীজাত সকলেই তাঁর উদ্দেশ্যে নানা বার্তা লেখেন সমাজ মাধ্যমে।
সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, 'এইবার আমি ছবি পোস্টানো বন্ধ করলাম, তুই তো আমার সঙ্গে আর রসিকতা করবি না। খুব সাজব আমায় আদর করে খোকা বলে কে ডাকবে সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়?'
শ্রীলেখা মিত্র একপ্রকার বিশ্বাসই করতে পারেননি যে কবি চলে গিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, 'কী হল সৌভিকের?' শ্রীজাতকে বন্ধুর চলে যাওয়া ভীষণভাবে আহত করেছে। তিনি কিছুতেই মানতে পারছেন না। তাই যেমন একদিকে নিজে বন্ধুকে নিয়ে একটা লেখেন তেমনই কবি শঙ্খ ঘোষের আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি থেকে কয়েক লাইন পোস্ট করেন। বন্ধুর স্মৃতিতে তিনি লেখেন, 'বন্ধুদের চলে যাওয়ার দৃশ্যের চেয়ে শ্লথ এবং ভারী আর কিছুই রচিত হয়নি পৃথিবীতে। শোকের চেয়ে স্থবির যেমন কিছু হয় না।'