আজ ১৬ জুন, ফাদার্স ডে। বাংলায় যাকে বলে কিনা পিতৃদিবস। এদিন সব বাবা কিংবা সন্তানরাই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। নিজের মতো করে একে অপরের জন্য এই দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করছেন। বাদ গেলেন না কবি শ্রীজাত।
পিতৃদিবসে শ্রীজাত সকলের সঙ্গে আলাপ করালেন তাঁর ছোট্ট সন্তানের। সঙ্গে এমন উপহারের জন্য স্ত্রী দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি শ্রীজাত। এদিন সন্তানকে কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন কবি। লিখেছেন, 'শুভ বাবা দিবস। আমাদের জীবন পরিবর্তন করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়া যথেষ্ট নয় দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগে কখনও শ্রীজাত সন্তানের সঙ্গে আপনাদের আলাপ হয়েছে? ইনি কিন্তু আর কেউ নন, শ্রীজাত-দূর্বা র আদরের পোষ্য বিড়াল ছানা। বিড়ালটিকেও বাবার কোলে উঠে ক্যামেরার দিকে জুল জুল করে তাকাতে দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁর সন্তানটি ছেলে না মেয়ে তা খোলকে করেননি শ্রীজাত।
আরও পড়ুন-কচি হাতে বাবাকে ধরে আদরের মেয়ে, পিতৃ দিবসে সদ্যোজাত মেয়ের সঙ্গে আলাপ করালেন বরুণ ধাওয়ান
শ্রীজাতর-এই পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ লিখেছেন, ‘এই নির্ভেজাল ভালবাসা সবচেয়ে বড়ো উপহার। ভালো থেকো দুজনে মিষ্টি মিষ্টি ছানাকে নিয়ে।’ কেউ আবার লিখেছেন, 'বাঃ সন্তান বেশ দুধেভাতে আছে বোঝা যায়....না না একটুও নজর দিচ্ছি না। Happy Fathers' Day।' কারোর মন্তব্য, ‘কবি বক্ষে, কবিতা কক্ষে’। কারোর কথায়, ‘দুজন দুজনকে কি নিবিড় করে আগলে রাখা,,,,আহা,চোখ,মন জুড়ালো’। কারোর দাবি, ‘এই ভালবাসার কোন নাম নেই, ভাষা নেই। আর এঁদের ভালবাসা যে ঠিক কিরকম সে আমি খুব ভাল ভাবে জানি। আমার চারজন আছেন। খুব ভালো থাকবেন দুজনেই আপনাদের এই ছানাটিকে নিয়ে।’ কারোর প্রার্থনা, ‘ভালো থাক সব বাবারা তাদের সন্তানদের সাথে। কতো বড়ো হয়ে গেল মা বাবার আদর যত্নে।’ কেউ বলেছেন, ‘এখন বুঝলাম বন্দ্যোপাধ্যায়দের বস কে’। এমনই অসংখ্য মন্তব্য় উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত ২০০৫ সালে ১৪ জুন সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায়, ২০০৪ সালে বইমেলায় গিয়ে আলাপ হয় তাঁদের। তারপর থেকে একসঙ্গেই পথ চলেছেনশ্রীজাত ও দূর্বা।