বৃহস্পতিবার ভোররাতের একটি ঘটনা মুম্বই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে। এদিন এক ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। শুধু তাই নয়, তাঁকে রীতিমত ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। সইফ আলি খান কাণ্ডে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এল। পুলিশের তরফে তাঁদের তদন্তে কী কী উঠে এসেছে সেটাই এদিন তাঁরা ভাগ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চোরের মতো দেখছেন সিসিটিভি-কে! প্রকাশ্যে সইফকে আক্রমণ করা ব্যক্তির ছবি
কী কী জানা গেল সইফ আলি খানের কাণ্ডে?
এদিন পুলিশের তরফে জানানো হল এই ব্যক্তি সইফ আলি খান বান্দ্রার যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির যে ইমারজেন্সি ফায়ার এক্সিট আছে সেখান দিয়ে প্রবেশ করেছে। সেই দরজা নাকি খোলা ছিল এদিন। এই বিল্ডিংয়ের পিছনে থাকা সিঁড়ি দিয়েই নাকি তিন সেই ফায়ার এক্সিটে পৌঁছেছিলেন।
তবে এদিন এও জানা গিয়েছে যে বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়ির পিছনের দিকে অনেক খামতি আছে। তবুও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেই ব্যক্তির ছবি পেয়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি যখন পালাচ্ছিল এই কাণ্ড ঘটিয়ে তখনই তাকে সিসিটিভিতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো, এই বান্দ্রার এই বাড়ির চারটি তলা জুড়ে থাকেন সইফ এবং করিনা। আর এটা কার বাড়ি না জেনেই নাকি সেই ব্যক্তি এখানে ঢুকে পড়েছিলেন। যদিও তাঁকে এখনও ধরা যায়নি।
আরও পড়ুন: সইফ কাণ্ডের পর শাহরুখ-সলমনকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন মমতা! বললেন, 'ওঁদেরও প্রাণের ঝুঁকি আছে'
আর কী জানা গিয়েছে এই কেসের বিষয়ে?
এদিন তদন্তকারী এক সিনিয়র অফিসারের তরফে জানানো হয়েছে সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকা এলিমা ফিলিপস ওরফে লিমা সেই মুহূর্তে বাড়িতে ছিলেন। তিনিই প্রথম অভিযুক্ত তথা আততায়ীকে দেখতে পান যখন সে ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তিনি তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় সেই ব্যক্তির। আর ঘটনাচক্রে তিনি হাতে আঘাত পান। তাঁর চিৎকার, চেঁচামেচি শুনেই নাকি তখন সেখানে দৌড়ে আসেন সইফ আলি খান। এরপরই সইফ আলি খানের সঙ্গে সেই ব্যক্তির হাতাহাতি শুরু হয়। সেই ব্যক্তির হাতে ধারাল কিছু অস্ত্র ছিল। সেটা দিয়েই তিনি অভিনেতার উপর আক্রমণ চালান, এরপর রক্তাক্ত অভিনেতাকে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান অটোয় করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এই দুর্ঘটনার পর।