বাংলাদেশের শোবিজ দুনিয়ার সবচেয়ে বিতর্কিত নাম পরীমনি। মাস কয়েক আগে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন পরীমনি, এরপর প্রায় এক মাস জেলবন্দিও থাকতে হয়েছে এই সুন্দরীকে। গত ২৪শে অক্টোবর ২৯-শে পা দিলেন পরীমনি। আর নিজের জন্মদিনে জমকালো সেলিব্রেশনের আয়োজন করেছিলেন তারকা।
ঝলমলে সেই পার্টির থিমই ছিল ‘ফ্লাই উইথ পরীমনি’। পরীর সঙ্গে উড়ার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলেন অনেকেই। নিজের জন্মদিনটা একদম নিজের মতো করে কাটিয়েছেন পরী। শ্যুটিং থেকে ছুটি নিয়ে দুপুরটা অনাথ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে, এরপর রাতপার্টিতে তুমুল হুল্লোড়। পরীমনির জন্মদিন মানেই সমাথিং স্পেশ্যাল। এবার বিমান সেবিকার বেশে সেজেছিলেন পরী। পরীমনির পরনে ছিল লাল রঙা শার্ট, সঙ্গে নীচে সাদা কাপড় জড়ানো, অনেকটা লুঙ্গির মতো দেখতে। কাছা দেওয়া ভঙ্গিতেই সেটা পরেছিলেন নায়িকা। সঙ্গে মাথায় লাল-সাদা টুপি। নানা শামসুল হক গাজীকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন পরীমনি, এরপর চলল শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। উপহারের বন্যা, সঙ্গে চলল সেলফি পর্ব। নাচে-গানে জমে উঠেছিল আসর। কিন্তু সবকিছুতে ছাপিয়ে যায় পরীর পোশাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে পরীমনির লুঙ্গি। সেই নিয়ে মিম, ট্রোলের বন্যা। সেই কটাক্ষের পালটা জবাবও সম্প্রতি দিয়েছেন নায়িকা।
ফেসবুকের দেওয়ালে অভিনেত্রীর কড়া বার্তা, ‘এই যে আমি #গুনিন এর শুটিং থেকে একটু ছুটি নিয়ে এসে বার্থডে সেলিব্রেশন, সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে হইহুল্লোর, সন্ধ্যা থেকে লেট নাইট পার্টি, পরদিন আর্লি মর্নিং আদালত শেষ করে আবার শুটিং জয়েন করলাম। দারুন একটা সিনেমার কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে দেখি আপনারা আমার সেই লুঙ্গিতেই আটকা পড়ে রইলেন!’ সবশেষে শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতেই পরীমনি ট্রোলাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আহারে আপনাদের দিকে তাকালে নিজেকে সত্যিই বড় সুখী মনে হয়।শুকরিয়া’।
সমাজের বাধাধরা গণ্ডিতে কোনওদিন আটকে পড়েননি পরীমনি। জীবনকে তিনি নিজের শর্তে বাঁচেন। শিল্পীদের মনে ট্যাবু থাকতে পারে না বিশ্বাসী তিনি। তাই তো সদর্পে বলে উঠেন, ‘চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে আমি চুমুও খাবো, বিকিনিও পরবো’। পরীমনির বিতর্কিত বিয়ে, ভাঙা এনগেজমেন্ট নিয়েও কম চর্চা হয়নি, তবে কোনও কিছুতেই দমেন না পরীমনি। এযেন এক হার না মানা হার!
তাঁর পোশাক নিয়ে বিদ্রুপের আবারও কড়া ভাষায় জবাব দিলেন পরীমনি। জানালেন এই দুনিয়ায় কোনও মানুষের বিচার তাঁর পোশাক পরবার ধরন নয়, তাঁর কাজ দিয়ে হওয়া উচিত।