পরীমনি বর্তমানে ছেলে পদ্মকে নিয়ে কলকাতায়। তিনি এখানে ফেলু বক্সি ছবির শ্যুটিং শুরু করে দিয়েছেন। এখানে তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে সোহম চক্রবর্তী এবং মধুমিতা সরকারকে। সেই ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে কেরিয়ার থেকে ছেলে, সহকর্মী নিয়ে কী জানালেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী?
সোহম এবং মধুমিতাকে নিয়ে কী জানালেন পরীমনি?
আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরীমনি জানিয়েছেন বাংলাদেশে মধুমিতা দারুণ জনপ্রিয়। তবে তিনি তাঁর নামে নয়, বরং বোঝে না সে বোঝে না ধারাবাহিকের চরিত্র পাখির নামে বেশি বিখ্যাত। সেই স্মৃতি হাতড়ে এদিন তিনি বলেন, 'আমাদের ওখানে মধুমিতার নাম সবাই যত না বেশি জানে তার থেকে অনেক বেশি ওকে সবাই পাখি হিসেবে চেনে। তাহলেই ভাবুন ওর ওই চরিত্রটা কতটা জনপ্রিয় হয়েছিল! আর সোহমের অমানুষ দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।' তবে এদিন অভিনেত্রী জানান শ্যুটিংয়ের পর যেহেতু তিনি তাঁর ছেলের কাছে দ্রুত পৌঁছতে চান তাই এখনও জমিয়ে আড্ডা হয়নি। বা একসঙ্গে শট হয়নি। তাই তেমন আলাপ হয়নি মধুমিতা এবং সোহমের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: কোনও রাখঢাক নেই, বিমানবন্দরে সবার সামনেই পোশাক খুলে ফেললেন উরফি! তারপর?
পরীমনিকে নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। সেটা নিয়ে কী মত?
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, 'আমায় আসলে সবাই ভুল বোঝে। মাঝে মধ্যে আমায় নিয়ে যা যা লেখা হয় সেটা দেখে নিজেই হতবাক হয়ে যাই যে এটা কি আমাকে নিয়েই লেখা হয়েছে?' কিন্তু ভুল ধারণাগুলো কী? এর জবাবে তিনি জানান অনেকে ভাবেন পরীমনির অনেক প্রেমিক, তিনি শ্যুটিংয়ে আসেন না, ইত্যাদি। এই রতিবাগুলোর কোনওটাই সত্যি নয় বলে তাঁর দাবি।
শরিফুলকে নিয়ে কী বললেন পরীমনি?
এদিন পরীমনি জানান তাঁর জীবনে একটাই প্রেম তাঁর সন্তান। তিনি বিয়ে বা প্রেমে আর বিশ্বাসী নন। একই সঙ্গে প্রাক্তন শরিফুলের প্রসঙ্গে বলেন, 'ওর নাম মুখে আনতে চাই না। ওকে ঘৃণা করি। ও আমার কাছে মৃত। আমি ওর ডেডবডি দেখে এসেছি।'
কলকাতায় কি এবার পাকাপাকি ভাবে থাকতে চান পরীমনি?
এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন কলকাতা তাঁর খুবই পছন্দের শহর। তিনি চান বাংলাদেশে ছয় মাস আর এখানে ছয় মাস থাকতে। বাড়ি কেনারও পরিকল্পনা করছেন তিনি এখানে।