পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানে বরাবরই মুগ্ধ হন ভক্তেরা। তাঁর মিষ্টি স্বভাব, সুরেলা গলার আওয়াজ, মন ছুঁয়ে যায় বরাবরই শ্রোতাদের। তবে এবার নিজের অসুস্থতার খবর সামনে আনলেন এই গায়িকা। যা নিয় বেশ চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা।
পৌষালী বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘M sick… OT হবে…THAT'S IT...’। অর্থাৎ ‘আমি অসুস্থ… অপরেশন হবে। ব্যস’। তাতে দেখা গেল, হাসপাতালের বিছানায় বসে আছেন তিনি। চুল এলোমেলো, বেশ অবাক হয়েই যেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। গায়ে হাসপাতালেরই সাদা চাদড়।
আরও পড়ুন: ৫৮ বছর বয়সে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম, ছোট ছেলের ছবি সামনে আনলেন সিধু মুসেওয়ালার মা-বাবা
গায়িকার এই পোস্টে এক অনুরাগী এক মন্তব্য করেন, ‘কোনো টেনশন নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে’। আর তাতে পৌষালী আবার একটি মন্তব্যও করেন, ‘টেনশন হচ্ছে। আমার জীবনে কোনোদিন ওটি হয়নি’। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে গায়িকা জানান, বৃহস্পতিবার পেটে ব্যথা। হাসপাতালে গেলে জানা যায়, গলব্লাডারে স্টোনের কথা। শুক্রবারই অপারেশন।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ের আগেই গর্ভে সন্তান, রূপালি দেন প্রাণে মারার হুমকি’! ফের অভিযোগ সৎ মেয়ের
গায়িকার এই পোস্টে অনুরাগীরা ভরিয়ে দিয়েছেন কমেন্টে। একজন লেখেন, ‘ভগবান তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেবে দিদিভাই।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে গানের জগতে ফিরে আসো’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘তারাতারি সুস্থ হয়ে ওঠো দিদিভাই,, ঈশ্বরের কাছে এই প্ৰার্থনাই করি’। চতুর্থজন আরও লিখলেন, ‘কী হয়েছে সেটাই তো বললে না! জলদি ঠিক হয়ে যাও’।
যে কোনও মাটির গান, পৌষালীর গলাতে যেন নতুন মাত্রা পায়। সারেগামাপা ২০১৭-তে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পিন্দারে পলাশের বন, ভ্রমর কইয়ো গিয়া, কলঙ্কিনী রাধা, উমা এলো-র মতো গান গেয়েছেন তিনি। একটানা ২৯ ঘণ্টা গান গাওয়ার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম উঠেছিল তাঁর।
আরও পড়ুন: ‘জিনিস ছিল একটা’, হঠাৎই অরিত্রের কোন গুণে মুগ্ধ কুণাল! জুড়লেন, ‘নজর কাড়ার ক্ষমতা…’
কদিন আগেই পৌষালীর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যায়, সোনারপুরে একটি কনসার্টের সময় স্টেজে থাকা তাঁরই সাউন্ড ইঞ্জিনিয়রকে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও ব্যাপারটা খুব ঠান্ড মাথায় সামলে নেন তিনি। পরে জানা যায়, যেই ব্যক্তি আসলে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়রকে মারার হুমকি দেয়, সে সাউন্ডেরই একজন অ্যাসিসটেন্ট। সেই ব্যক্তি মদ্যপ ছিল বলেও খবর আসে। এরপর বের করে দেওয়া হয় তাকে।